অর্থনৈতিক স্বাধীনতা আছে কর্মজীবী নারীদের

আপনি কি নিজ সিদ্ধান্তে নিজের অর্থ ব্যয় করতে পারেন? (কর্মজীবী নারী)

অধিকাংশ কর্মজীবী নারীরা নিজেদের আয় করা অর্থ নিজের সিদ্ধান্তেই ব্যয় করতে পারেন। তবে পরিবারের অর্থ নিজেদের কাজে ব্যয় করতে তেমন স্বাধীনতা নেই গৃহিনীদের।

'পরিবারে নারীর ক্ষমতায়ন' বিষয়ক বাংলা ট্রিবিউনের পরিচালিত একটি জরিপে এমন ফলাফল দেখা গেছে। জরিপে অংশগ্রহণকারী ৪ হাজার ৮০০ জন নারীর মধ্যে ১৬০০ জন কর্মজীবী নারী ও ১৬০০ জন গৃহিণীদের মতামতে এমন চিত্র দেখা গেছে।

‘আপনি নিজ সিদ্ধান্তে নিজের অর্থ-ব্যয় করতে পারেন কি?’ এমন প্রশ্নে ১৬০০ জন কর্মজীবী নারীদের মধ্যে ৭৯.০৬ শতাংশ নারী হ্যাঁ বলেছেন।  ‘না’ বলেছেন ৮.৩১ শতাংশ নারী। কখনও-কখনও নিজের উপার্জিত অর্থ ব্যয়ের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হয় বলে জানিয়েছেন ১২.১৯ শতাংশ নারী।

অপরদিকে ‘আপনি নিজ সিদ্ধান্তে পরিবারের অর্থ নিজের জন্য ব্যয় করতে পারেন কি?’ এমন প্রশ্নের জবাবে ১৬০০ জন গৃহিণীদের মধ্যে ৫৭.১৯ শতাংশ জানিয়েছেন- পরিবারের অর্থ নিজের জন্য ব্যয় করার স্বাধীনতা তাদের নেই। পূর্ণ স্বাধীনতা আছে বলে জানিয়েছেন ৪১.৫০ শতাংশ গৃহিণী।

Women Survey 08

তবে পারিবারের অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তে নিজেদের অংশগ্রহণ বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে জরিপে অংশগ্রহণকারী মোট ৪ হাজার ৮০০ জনের ৫২.৭৯ শতাংশ নারী তাদের অংশগ্রহণ আছে বলে মত দিয়েছেন। কোনও প্রকারের অংশগ্রহণ নেই বলে জানিয়েছেন ২৩.২৯ শতাংশ। কখনও কখনও অংশগ্রহণ জানিয়েছেন ২১.১৩ শতাংশ।

উল্লেখ্য, ২২ ফেব্রুয়ারি-২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের ৮ বিভাগে নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ক একটি জরিপ পরিচালনা করে বাংলা ট্রিবিউন। সারাদেশের মোট ৪ হাজার ৮০০ নারীর ওপর এই জরিপে প্রতিটি বিভাগ হতে ৬০০ জন (৩০০ জন শহুরে ও ৩০০ জন গ্রামে বসবাসকারী) করে নারীর মতামত নেওয়া হয়।

 

জরিপ পরিচালনা:  বাংলা ট্রিবিউন

জরিপ পরিচালনার সময়কাল: ২২ ফেব্রুয়ারি- ২৯ ফেব্রুয়ারি         

নমুনা (sample) সংগ্রহের প্রক্রিয়া:
১. প্রতিটি বিভাগে ৩০০ জন শহুরে এবং ৩০০ জন গ্রামীণ নারীকে ২০টি করে প্রশ্ন করা হয়। (এভাবে আটটি বিভাগে মোট ৪ হাজার ৮০০ জনের ওপর জরিপ পরিচালনা করা হয়)।

২. শহুরে বলতে বোঝানো হয়েছে- বিভাগীয় শহরে বসবাসকারী নারী এবং গ্রামীণ বলতে বোঝানো হয়েছে- জেলা, উপজেলা, থানার গ্রাম পর্যায়ে বসবাসকারী নারী।

৩. শুধু নারীদের ওপরই এই জরিপ পরিচালনা করা হয়।  
৪. পেশাভিত্তিক অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা সমান রাখা হয়েছে। অর্থাৎ শিক্ষার্থী ১০০ জন, কর্মজীবী নারী ১০০ জন এবং গৃহিণী ১০০ জন।
৫. দৈবচয়ন পদ্ধতিতে নির্বাচিত প্রতি অংশগ্রহণকারীর উত্তর নেওয়ার পর ৫ মিনিট অন্তর অংশগ্রহণকারী নির্বাচন করা হয়।

৬. জরিপকারীরা একই স্থানে সর্বোচ্চ ১ ঘণ্টা অবস্থান করেছেন।  
৭. নমুনা সংগ্রহের জন্য জেলা/বিভাগের হাটবাজার/শপিংমলকে স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

৮. দেশের আটটি বিভাগে এই জরিপ পরিচালনা করা হয়।