‘ব্যবসায় মানোন্নয়ন ও অগ্রগতির অন্যতম হাতিয়ার মানবাধিকার’

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ব্যবসায় মানোন্নয়ন ও অগ্রগতির অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকারের প্রতি যথাযথ সম্মান দেখালে তা ‘করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা’ রক্ষার অন্যতম পদক্ষেপ হতে পারে।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় গ্লোবাল অ্যালায়েন্স অব ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ইনস্টিটিউশন্সের (জিএএনএইচআরআই) বার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বেশির ভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই মানবাধিকার বিষয়ক নীতিগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইউশা রহমান জানান, সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ৬ থেকে ৮ মে তিন দিনব্যাপী গ্লোবাল অ্যালায়েন্স অব ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ইনস্টিটিউশন্সের (জিএএনএইচআরআই) বার্ষিক সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা ও পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) কাজী আরফান আশিক অংশ নেন।

সম্মেলনের অংশ হিসেবে বুধবার (৮ মে) গ্লোবাল অ্যালায়েন্স অব ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ইনস্টিটিউশনসের সভাপতি মারইয়াম আল আতিয়ার সভাপতিত্বে ‘দ্য রোল অ্যান্ড এক্সপেরিয়েন্সেস অব ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ইনস্টিটিউশন্স’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের প্রেক্ষাপটে মানবাধিকারের ওপর বিষয়ভিত্তিক আলোচনা হয়।

প্রথম সেশনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বক্তব্য দেন। বক্তব্যে তিনি ব্যবসায়িক পরিমণ্ডলে মানবাধিকারকে অগ্রাধিকার ও মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেখানোর অপরিহার্যতা নিয়ে আলোচনা করেন। একই সঙ্গে তিনি ব্যবসা ক্ষেত্রগুলোয় মানবাধিকার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ভূমিকা তুলে ধরেন।

ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষি থেকে শিল্পে রূপান্তর নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি ব্যবসায়িক পরিমণ্ডলে শ্রমের ক্ষেত্রে অন্যায্যতা, অনিরাপদ কর্মক্ষেত্র, শ্রমিকদের প্রতি সহিংসতা ও অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো উল্লেখ করেন এবং সেগুলো নিরসনে প্রতিপালনীয় বিষয়গুলো তুলে ধরেন। সুস্থ ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ সৃষ্টি ও ঝুঁকি লাঘবের বিষয়ে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।