রাজধানীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সংঘর্ষে কিশোর নিহত: দুজন রিমান্ডে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মসূচি শেষে সংগঠনের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মেহেদি হাসান নামে এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দুই জনের তিন দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২১ মে) মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার সাব-ইন্সপেক্টর সজীব দে আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এই রিমান্ডের আদেশ দেন।

রিমান্ডে যাওয়া দুই আসামি হলেন রবিউল ইসলাম ও রাজীব।

এদিন আসামিদের পক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানিতে আইনজীবীরা বলেন, আসামিরা সম্পূর্ণ নির্দোষ। ঘটনা সম্পর্কে অবগত নয়। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত বলেন, আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে মারপিট করা যাবে না। হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হলো।

শেরেবাংলা নগর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর জালাল উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা যায়, গত ১৮ মে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আনন্দ মিছিল শেষে নিজ এলাকায় হেঁটে ফিরছিলেন মেহেদি ও তার সহকর্মীরা। সন্ধ্যা ৬টার দিকে শেরেবাংলা নগর থানাধীন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর সংসদ ভবনের ১১ নম্বর গেটের পশ্চিম দিয়ে বের হয়ে বাসায় ফিরছিলেন তারা। রাস্তা পারাপারের সময় পিকআপ ভ্যানে থাকা অন্য একটি দলের সঙ্গে তাদের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।

পরে প্রতিপক্ষ ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে গেলে মেহেদিসহ অন্যরা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের চাকুর আঘাতে আহত হয় মেহেদি। পরে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই ঘটনায় মেহেদির মামা চয়ন মিয়া শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।