‘বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অবদান অনস্বীকার্য’

প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারাটা জীবন শোষিত ও নিপীড়িত জনগণের অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করেছেন। তিনি শান্তির পক্ষে কথা বলেছেন। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অবদান অনস্বীকার্য।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘শান্তি ও সম্প্রীতির অগ্রদূত বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, ‘জুলিও কুরি শান্তি পদক ছিল বিশ্বমানবতার প্রতি বঙ্গবন্ধুর কর্ম, ত্যাগ ও ভালোবাসার স্বীকৃতি। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এটি ছিল বঙ্গবন্ধুর মৌলিক দর্শন ও অবদানের মূল্যায়ন।’

বঙ্গবন্ধু একটি শান্তিপূর্ণ দেশ ও বিশ্ব দেখতে চেয়েছিলেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্র নীতির মূল উপজীব্য ছিল ‘‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয় এবং সব বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান’’। আজকের দিনেও এটা প্রাসঙ্গিক।’

সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল। অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন দেশের বিশিষ্টজনেরা।

আলোচকরা বলেন, বিশ্বশান্তি ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের মূলনীতি। তার কর্মকাণ্ডের লক্ষ্য ছিল মানুষের কল্যাণ। এই মানবিক মূল্যবোধই বঙ্গবন্ধুকে রাজনৈতিক সংগ্রামে অংশগ্রহণ করতে অনুপ্রাণিত করেছিল, যা প্রতিফলিত হয় তার বিভিন্ন রাজনৈতিক আদর্শে।