কোটা আন্দোলনকারীদের প্রতি সমর্থন ও হত্যার প্রতিবাদ জানাতে টিএসসিতে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক আক্তার হোসেন ও তার তিন সহযোগী। পুলিশ তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। তারা সরতে না চাইলে চার রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড ছোঁড়া হয়। পরে আক্তার ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুরে রাজু ভাস্কর্যের দক্ষিণ পাশে এই চিত্র দেখা যায়। এর আগে দুপুর আড়াইটার কিছু আগে আক্তাররা অবস্থান নিতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। তারা বাধা মানেননি। এই চার জনকে ঘিরে অনেক সাংবাদিকের উপস্থিতি তৈরি হয়। তাদের সরানোর জন্য চাপ সৃষ্টি হলে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে চার রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। পরে তাদের চার জনকে ঘিরে থাকা সাংবাদিকরা সরে গেলে তাদের টেনে প্রিজন ভ্যানে তোলেন পুলিশ সদস্যরা।
তাদের কী অভিযোগে আটক করা হয়েছে, সে বিষয়ে পুলিশের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলেও তারা কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
এদিকে সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণে সাংবাদিকসহ একাধিক জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একজনের পরিচয় মিলেছে। তিনি চ্যানেল এস-এর স্টাফ রিপোর্টার সোলায়মান কবির। আহত এই সাংবাদিক বলেন, এখানে সাউন্ড গ্রেনেড মারার মতো কোনও পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। তারপরও আমাদের এভাবে আহত করা হলো।