আন্দোলন প্রত্যাহার করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা

কোটা আন্দোলন থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও নানা বাস্তবতায় তাদের কোনও কর্মসূচি নেই বলে জানিয়েছেন কোটা সংস্কারের দাবিতে বরিশালে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ক সুজয় বিশ্বাস শুভ।

শনিবার (২৭ জুলাই) বিকালে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচ তলায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে সুজয় বিশ্বাস শুভ আরও বলেন, গত ১ জুলাই থেকে সারা দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতো আমরা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা সংস্কারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছি। আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনের প্রেক্ষিতে মহামান্য আদালত কোটা সংস্কারের পক্ষে রায় দিয়েছেন এবং সরকারের নির্বাহী বিভাগ তা অনুসরণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।

তিনি বলেন, আমরা বরাবরই শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলন করে আসছিলাম। কিন্তু আন্দোলন চলাকালে দেশব্যাপী নানা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রেক্ষিতে আমাদের অনেক ভাই-বোন আহত ও নিহত হয়েছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা কারও অসৎ উদ্দেশ্য সাধনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হতে চাইনি। নির্বাহী বিভাগ আমাদের কোটা সংস্কারের দাবির প্রেক্ষিতে যে সমাধান করেছে, আমরা মনে করি তাতে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতিফলন ঘটেছে।

তবে সারা দেশের শিক্ষার্থীদের দাবির পাশাপাশি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেক্ষাপটে কিছু দাবি রয়েছে। আমাদের দাবিগুলো হলো- ১. অনতিবিলম্বে হল খুলে দিতে হবে। ২. বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় সাধারণ জনগণকে কোনও ধরনের মামলা বা হয়রানি করা যাবে না। ৩. শিক্ষার্থীদের বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক কোনও ধরনের হয়রানি করা যাবে না। ৪. ছাত্র সংসদ নির্বাচন ও ক্যাম্পাস খোলার পর ক্যাম্পাসের নিরাপদ এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বলেন, নির্বাহী বিভাগ আমাদের কোটা সংস্কারের দাবি মেনে নিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে। আমরা অহিংস আন্দোলনে বিশ্বাসী এবং আমাদের উপরের দাবিগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি। এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ও নানা বাস্তবতায় আমাদের কোনও কর্মসূচি নেই। সারাদেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে আমরা আমাদের পরবর্তী করণীয় আপনাদের জানাবো। সন্ত্রাস ও সহিংসতার সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোনও সম্পৃক্ততা নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কোটা সংস্কারের দাবিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে থাকা মাহমুদুল আলম রাজিব, ভূমিকা সরকার, সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।