নতুন সরকারকে সহায়তা করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সরকার পতনের পর সমন্বয়করা অংশীজনদের নিয়ে একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করেছিল। সেই কমিটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নাম প্রস্তাব করে। আজ বঙ্গভবনে তাকে নিয়ে ১৭ সদস্যের সরকার গঠিত হচ্ছে। তবে রাষ্ট্র পরিচালনায় এই সরকাকে সব ধরনের সহায়তার কথা জানিয়েছে এই লিয়াজোঁ কমিটি।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট অভ্যুত্থান-পরর্বতীকালীন ছাত্র-জনতার সরকারের রূপরেখা ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অংশীজন নির্ধারণে একটি লিয়াজোঁ কমিটি প্রস্তাবিত হয়। মাহফুজ আলমকে সমন্বয় করে এ কমিটি ঘোষিত হয়েছিল। লিয়াজোঁ কমিটির সদস্যরা অংশীজন (রাজনৈতিক গঠন, পেশাজীবী সংগঠন ও সিভিল সোসাইটি)। তাদের সঙ্গে কথা বলে দেশের অরাজকতা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সচেষ্ট ছিলেন।’

‘এ ছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অংশীজন নির্ধারণে উচ্চ অংশীজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের কাছে নাম প্রস্তাব করেন। ৬ আগস্ট লিয়াজোঁ কমিটির দুজন সদস্য সমন্বয়ক মাহফুজ আলম ও নাছির উদ্দিন পাটোয়ারী বঙ্গভবনে ছাত্র-শিক্ষক প্রতিনিধি দলের ১৫ সদস্যদের মধ্যে ছিলেন। পরে অন্তর্বর্তী সরকারের রূপ ও সরকার গঠনের সহায়তায় কাজ করে যাচ্ছে লিয়াজোঁ কমিটি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজ (৮ আগস্ট) ড. মোহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের সময়ও কমিটির দুই সমন্বয়ক উপস্থিত ছিলেন। কমিটি আগামী বাংলাদেশের রাষ্ট্রের নতুন রাজনৈতিক বন্ধবস্তের জন্য সব অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ ও প্রস্তাবের জন্য কাজ করবে। কমিটির সদস্যসংখ্যা সব দলের মতামতের ভিত্তিতে আরও বর্ধিত ও অন্তর্বর্তীমূলক হবে। এই কমিটিতে দলতম-নির্বিশেষে আরও অনেকে যুক্ত হবেন। আমরা সবাই একসঙ্গে দেশ গড়ার কাজ করবো।’

নাহিদ বলেন, ‘লিয়াজোঁ কমিটি আমাদের কাছে যে প্রস্তাব করেছিলেন, সেই সদস্যদের তালিকা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের সামনে পেশ করেছি। তিনি সম্মতি দিয়েছেন। পরে সবার সম্মতিক্রমে আমরা সেই তালিকা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব করেছি। সেই প্রস্তাব অনুযায়ী আজ তারা শপথবাক্য পাঠ করবেন।’