জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততাসহ বেশকিছু অভিযোগে ২০২২ সালে বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ ভেঙে দিয়ে ১২ সদস্যের নতুন বোর্ড পুনর্গঠনকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে এখন থেকে ২০২২ সালের পূর্বের পরিচালনা পর্ষদ দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের মমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইমাম হোসেন সিডনী।
এর আগে ২০২২ সালে বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ ভেঙে দিয়ে ১২ সদস্যের নতুন বোর্ড পুনর্গঠন করে দেয় সরকার। পুরোনো ট্রাস্টি বোর্ডের সাত জনকে নতুন বোর্ডে রাখা হয়নি। ‘দুর্নীতি, রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতার’ অভিযোগে ১৬ সদস্যের ট্রাস্টি বোর্ডটি ভেঙে দেওয়া হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠনের বিষয়ে আদেশ জারি করে।
পুনর্গঠিত ট্রাস্টি বোর্ডে বাদ পড়েন বিদায়ী বোর্ডের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ এবং সদস্য বেনজির আহমেদ, আজিজ আল কায়সার, এম এ কাশেম, রেহানা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান ও নুরুল এইচ খান। এর মধ্যে বেনজির আহমেদ, এম এ কাশেম, রেহানা রহমান ও মোহাম্মদ শাহজাহান আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের মামলায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে কারাগারে আছেন। দুদকের ওই মামলায় ওই চার জনসহ ছয় জনকে আসামি করা হয়, যাদের মধ্যে আজিম উদ্দিনও রয়েছেন। বাকি সদস্যদের কী কারণে বাদ দেওয়া হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে তা উল্লেখ করা হয়নি।
পরে বাদ পড়া সদস্যরা হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। সেই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আদেশ দিলেন হাইকোর্ট।