রাজু ভাস্কর্যে চলছে ‘জরুরি সংযোগ’

‘শর্তহীন স্বাধীনতার’ দাবিতে, ‘ভারতের পানি আগ্রাসনের’ বিরুদ্ধে এবং ‘পানি আগ্রাসনে আক্রান্তদের’ জন্য সহায়তা উত্তোলন করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে একটি কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বিকাল ৩টা থেকে ‘জরুরি সংযোগ’ শিরোনামে এ কনসার্ট এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চলছে।

প্রগতিশীল এবং বামপন্থি ছাত্র সংগঠন, সাংস্কৃতিক সংগঠন, মানবাধিকারকর্মী, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থী, কবি এবং শিল্পীদের উদ্যোগে এই কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে।

‘যাবতীয় যত জরা আর রোগ, উপড়ে ফেলতে জরুরি সংযোগ’ এই আহ্বানকে সামনে রেখে কনসার্টের আয়োজকরা বলছেন, দীর্ঘ ১৬ বছর পর গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর যাতে আর কোনও নিবর্তনমূলক আইন এ রাষ্ট্রে না থাকে, সেই শর্তহীন স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার দাবি নিয়েই এই কনসার্টটি আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু উদ্ভূত বন্যা পরিস্থিতিতে জরুরি সংযোগ মনে করেছে, ভারতের  পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ও  আক্রান্তদের কাছে সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রকে দায়বদ্ধ করার উদ্দেশ্যেই এই কনসার্টটি হওয়া প্রয়োজন। তাই কনসার্টের সঙ্গে সঙ্গে আগত দর্শনার্থীদের কাছ থেকে খাগড়াছড়ি, ফেনী, নোয়াখালী ও চা বাগানে পানি আগ্রাসনের আক্রান্তদের সহায়তার জন্য শুকনো খাবার, স্যানেটারি প্যাড, পোশাক ও গণঅর্থ সংগ্রহ করেছে। 

কনসার্টে অংশ নিয়েছেন শিক্ষার্থীসহ নানান শ্রেণিপেশার মানুষ

তারা আরও জানান, জরুরি সংযোগ মনে করে, যেকোনও দুর্যোগেই মানবিকতার প্রশ্নে মানুষ মানুষের পাশে এসে দাঁড়ায়। কিন্ত এই দাঁড়ানোর মাধ্যমে একটি রাষ্ট্র তার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কর্তব্য ও দায়কে কোনোভাবে অস্বীকার করতে পারে না। 

‘জরুরি সংযোগ’ কনসার্টে সংগীত পরিবেশনা করেছে মঞ্চের গান, অনিন্দ্য বিশ্বাস, বেতাল, তুহিন কান্তি দাশ, ডেমোক্রেজি ক্লাউনস, নিজাম রাব্বি, প্রহরী, শিরোনামহীন, নাদিম কাওয়াল, সোনার বাংলা সার্কাস, গানপোকা, কাকতালসহ একাধিক ব্যান্ড, শিল্পী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং র‍্যাপ আর্টিস্টরা।