উন্নত নগর গড়ার বার্তা নিয়ে পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব বসতি দিবস’

আজ বিশ্ব বসতি দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো প্রতিবছর বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। দিবসটির এবছরের প্রতিপাদ্য হলো ‘তরুণদের সম্পৃক্ত করি, উন্নত নগর গড়ি’।

সোমবার (৭ অক্টোবর) বিশ্ব বসত দিবস উপলক্ষে থাকছে নানা রাষ্ট্রীয় আয়োজন। এই দিবস উপলক্ষে সকালে র‍্যালির আয়োজন করা হয়েছে, টেলিভিশন ও বেতারে বিশেষ টকশো প্রচার এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ব্যানার, পোষ্টার ও ফেস্টুন স্থাপন করা হবে। সব বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে দিবসটি উদযাপন করা হবে। ‘বিশ্ব বসতি দিবস ২০২৪’ এর প্রতিপাদ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। 

১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবারকে বিশ্ব বসতি দিবস হিসেবে ঘোঘণা করে৷ তার পরের বছর অর্থাৎ ১৯৮৬ সাল থেকেই বিশ্বব্যপী পালন হয়ে আসছে দিবসটি। প্রতিবছরই ভিন্ন ভিন্ন প্রতিপাদ্য এই দিবসে। প্রথম বারের প্রতিপাদ্য ছিল, ‘বাসস্থান আমার অধিকার’। 

সাধারণত একটি নির্দিষ্ট স্থানে মানুষ একত্রিত হয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করাকে মানব বসতি বলে। একটি দেশে দুই ধরনের বাসতি থাকে; গ্রামীণ ও শহরে বসতি। যে বসতির সংখ্যাগরিষ্ঠ অধিবাসী জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রধানত কৃষির ওপর নির্ভরশীল তাকে গ্রামীণ বসতি বলে। এদিকে যে অঞ্চলে অধিকাংশ অধিবাসী প্রত্যক্ষ ভূমি ব্যবহার ছাড়া অন্যান্য অকৃষিকাজ পেশায় নিয়োজিত থাকে তাকে শহুরে বসতি বলে। 

বাংলাদেশের কোন বসতিকে ‘শহর’ হিসেবে স্বীকৃতি লাভের জন্য কমপক্ষে ৫০০০ জনসংখ্যা ও প্রতি বর্গকিমিতে ১৫০০ জনের বসবাস থাকতে হবে। দেশে ঢাকাকে ‘প্রশাসনিক নগর’ ও চট্টগ্রামকে ‘বাণিজ্যিক নগর’ বলা হয়। বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় শতকরা ৪০ শতাংশ বাস করে শহরে।