বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় সোহান শাহ নামে একজনকে গুলি করে হত্যার মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেন নিহত সোহানের মা সুফিয়া বেগম। আদালতের বিচারক আরোবিয়া খানম বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে রামপুরা থানাকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ডিবি প্রধান হারুনুর রশিদ, আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার বিশ্বাস, সাবেক এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম, সাবেক নরসিংদী ১ ও ২ আসনের সদস্য নজরুল ইসলাম হিরু ও আনোয়ার আশরাফ খান দিলীপ, ঢাকা ১৪ ও ১৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাইনুল হোসেন খান নিখিল, কামাল আহমেদ মজুমদার, মো. আব্দুল্লাহ।
এ ছাড়া রামপুরা থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইমন ফরাজী, মাজেদুল হক ঝন্টু, আওয়ামী লীগ নেতা শাখারুল ইসলাম শাকিল, মো. রাকিবুল ইসলাম, মো. ওহিদুর, রাকিবুল আল মামুন,আব্দুল মান্নান, এনামুল হক, তারেক আল মামুন, মহিউদ্দিন আহমেদ, মশিয়ার রহমান, হুমায়ুন রশিদ মুহিত, মেহেদী হাসান জয়, মোহন লাল, সাইফুজ্জামান শিখর, খোরশেদ হক, মোবারক হক, আশরাফুল, গৌতম মজুমদার, নকুল চন্দ্র দাস, হোসেন মোল্লা, সালাম মিয়া, ইউসুফ আহমেদ জুয়েল, দুদু মিয়া মোল্লা, নজরুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা, ছায়েদুল আরেফিন, রফিক চেয়ারম্যান, মান্নান চেয়ারম্যান, শহিদুল ইসলাম, হাজী আরিফ হোসেন, শেখ আফিল উদ্দিন ভূইয়া, শেখ বশির উদ্দিন ভূইয়া, আহমেদ কায়কাউস, শহিদ উল্লা খন্দকার, মোজাহারুল হক আক্রোঠ, মোসলেহ উদ্দিন, শামীম আকতার, ইকবাল, আশিষ কুমার দাস, সাব্বির মোল্লা।
মামলার সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই রাজধানীর রামপুরা থানাধীন সিএনজি স্টেশনের সামনে গুলিতে আহত হন মো. সোহান শাহ (৩০)। এরপর গত ২৮ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।