বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে শহীদদের স্মরণে নাগরিক কমিটির মোমবাতি প্রজ্জ্বলন

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দিবসের প্রথম প্রহরে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ও ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থান শহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত ১২টা বেজে ১ মিনিটে নাগরিক কমিটির আয়োজনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভের বেদিতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। এই আয়োজনে বিভিন্ন স্তরের মানুষ এতে অংশ নেন। সম্মিলিত কণ্ঠে ‘মুক্তির মন্দির সোপানতলে’ গানের মাধ্যমে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি শুরু হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক অধিকার আহ্বায়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, সহ মুখপাত্র সালেহ উদ্দিন সিফাত ও সদস্য মানজুর আল মাতিনসহ আরও অনেক। 

এসময় আখতার হোসেন বলেন, আমরা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণ করছি। তেমনিভাবে স্মরণ করছি ২০২৪-এ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদেরও। আমরা একাত্তরে বিজয় পেয়েছি পাকিস্তানের কবল থেকে আর চব্বিশে ভারতীয় আগ্রাসন থেকে আমাদের বিজয় এসেছে। এদেশের মাটিতে ১৯৭১সালের যোদ্ধাপরাধীদের যেমনি বিচার করতে হবে, তেমনি ২০২৪ সালের গণহত্যাকারীদের বিচার করতে। এসময় তিনি একাত্তর ও চব্বিশের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া পরিচালনা করেন। 

মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি

মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, বাংলাদেশকে নতুন করে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর মতো রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চাই। আমরা কোনও দেশের এক্সটেনশন হতে চাই না। বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশকে বলতে চাই– বাংলাদেশের প্রতি আপনাদের দৃষ্টি যেমন হবে, রক্ত দিয়ে হলেও আমরা সেই দৃষ্টিতেই আপনাদের দেখবো।

সবশেষে সম্মিলিত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ। 

এরআগে রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ১০টা থেকে ধীরে ধীরে মানুষ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভের বেদিতে জড়ো হতে থাকেন। জড়ো হয়ে সেখানে মোমবাতি জ্বালানোর প্রস্তুতি নিতে থাকে।