ইংরেজি নতুন বছর উদযাপন উপলক্ষে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো নিষিদ্ধ করেছিল সরকার। তবে সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শহরের বিভিন্ন এলাকায় চলছে পটকা ফোটানোর উৎসব।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকাল থেকেই পাড়া-মহল্লায়, সড়কে এবং বাড়ির ছাদে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো শুরু করে কিশোর ও তরুণরা। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর মাত্রা আরও বাড়তে থাকে। রাত ১২টা বাজতে না বাজতেই শহরজুড়ে বিরামহীন পটকার শব্দে যেন কম্পিত হয়ে ওঠে পরিবেশ।
এসব এলাকায় বাসা-বাড়ির ছাদে ছাদে মানুষ নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে উল্লাস শুরু করে। আতশবাজির ঝলকানিতে চারপাশ আলোকিত হয়ে ওঠে। এসব দৃশ্য ফোনে ধারণ করেছিলেন অনেকে। কোনও ছাদে উচ্চ শব্দে গানের সাথে নাচ করতে দেখা গেছে। তাদের অনেকেই ছাদে বারবিকিউ পার্টির আয়োজনও করে । ১২টা বাজার পরও এসব আয়োজন চলছিল।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, আতশবাজি ও পটকা ফোটানো নিষিদ্ধ থাকলেও সেগুলোর প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রশাসনের কোনও তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। পুলিশের টহলও তেমন দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মানুষ। ফলে নির্বিচারে এলাকাগুলোতে পটকা ও আতশবাজি ফোটানো হচ্ছে।
উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা মিজান হোসেনের বলেন, এ পর্যন্ত ১০টা আতশবাজি ও শ খানেক পটকার আওয়াজ পেয়েছি। স্থির হয়ে বসা যাচ্ছে না। ১২টা বাজলে এটা আরও বাড়বে।
এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কারও বক্তব্য পাওয়া না গেলেও সাধারণ মানুষের অভিযোগ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি আরও জোরদার করা উচিত ছিল।