ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদী বলেছেন, ভারত নিজেই তাদের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে পারে না। তারা মুসলমানদের রক্ত দিয়ে হলি উৎসব করে। এমনকি তারা হলি করতে গিয়ে মসজিদকে পর্দা দিয়ে ঢেকে দেয়। রঙ মাখানোতে বাধা দেওয়ায় মুসলমানদের ওপর হামলা করে। তারা উগ্রবাদীদের লালন করে, অথচ আমাদেরকে অসাম্প্রদায়িক হবার জ্ঞান দেয়।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত মানববন্ধনে এ কথা বলেন তিনি। এসময় ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে ভারতে বিভিন্ন সময়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ তুলে ধরা হয়।
হাদী বলেন, ভারত যদি তাদের মাইনরিটির নিরাপত্তা দিতে না পারে, কুকি চিন নারীদের নিরাপত্তা দিতে না পারে, তাহলে তাদের দেশের ম্যাপ যে আজীবন এমন থাকবে, সেটা বলা যায় না। ভারত যদি মাইনরিটির নিরাপত্তা দিতে না পারে তাহলে তাদের প্রতিবেশিরাই ভারতীয় হিন্দুত্ববাদের শিকড় উপড়ে ফেলবে। ভারতে সংখ্যালঘুদের যেমন জীবন চলছে, পৃথিবীর আর কোথাও সংখ্যালঘুরা এমন মানবেতর জীবন কাটায় না। আমরা ভারতে মুসলিম, বুদ্ধ, খ্রিস্টান, হরিজন দলিতদের নিরাপত্তা কামনা করছি।
তিনি বলেন, ভারত মুসলমানদের স্থাপনা উচ্ছেদ করার পাশাপাশি বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, মায়ানমারের সীমানা পরিবর্তন করে রাম রাজ্য কায়েম করতে চায়৷ ভারতে খ্রিস্টানদের জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করা হয়, কিন্তু ভারত বলে চট্টগ্রামে নাকি হিন্দুদের ধর্মান্তরিত করা হয়। পত্রিকার সূত্র উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারতে ২০১৫-১৮ সাল পর্যন্ত শুধু গরু খাওয়ার অপরাধে ৪৪ জন মুসলিমকে হত্যা করা হয়েছে। মুসলিমদের তো শুকর হারাম তবুও মানুষ শুকর চাষ করে থাকে। কিন্তু সেখানে তো কাউকে হামলা করা হয়নি।
তিনি বলেন, আজকেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ভারতের সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধ করতে ভারতকে অ্যাকশন নিতে বিবৃতি দেওয়ার দাবি জানান।