‘আহমদ শফীকে চাপ দিয়ে শোকরানা মাহফিল করিয়েছিলেন শেখ হাসিনার সামরিক সচিব’

হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব বলেছেন, জীবনের অনেক বড় আশা ছিল শাপলার শহীদ পরিবারকে নিযে বসবো।  কেননা, আপনারা জানেন, শেখ হাসিনা বলেছিলেন— শাপলাতে কিছুই হয়নি। আপনারা জানেন, আহমদ শফী সাহেবসহ সবাইকে চাপ দিয়ে শোকরানা মাহফিল করিয়ে শেখ হাসিনার সামরিক সচিব হত্যাকাণ্ডকে অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘এতদিন কথা বলতে পারিনি। আমরা নাকি কোরআন পুড়িয়েছি! আমরা নির্বাচনের আগে হাসিনা ও তার দোসরদের আগে বিচার চাই।’

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া সাত মসজিদ মাদ্রাসা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক ইফতার মাহফিলে জুনায়েদ আল হাবিব এসব কথা বলেন।

হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে ২০১৩ সালে শাপলা চত্বর ও ২০২১ সালে মোদিবিরোধী আন্দোলনে শাহাদাতবরণকারী হেফাজতে ইসলামের শহীদ পরিবারের সম্মানে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

মহানগর সাধারণ সম্পাদক  মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হকের পরিচালনায় ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন জুনায়েদ আল হাবিব।

শহীদের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন, শহীদ হাফেজ মাওলানা আনোয়ার শাহ এর পিতা আবুল হাসনাত,শহীদ ঈশা হক আলীর ছেলে আবু সাইদ, শহীদ খালিদ মুহাম্মদ সাইফুল্লাহর ভাই নাজমুল আলম, শহীদ মোহাম্মদ আকবরের ভাই মোহাম্মদ মনির হোসাইন, শহীদ মাওলানা ইউনুস আলীর পিতা মোহাম্মদ নাজিমুদ্দিন।

বক্তব্য রাখেন, নায়েবে আমির মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী,  যুগ্মমহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী,  মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মাওলানা জালালুদ্দিন, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা ফয়সাল আহমাদ, মাওলানা আফসার মাহমুদ, মাওলানা এনামুল হক মুসা, মাওলানা মুফতি শরিফুল্লাহ, মাওলানা এহসানুল হক, মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ, মুফতি মোহাম্মাদুল্লাহ প্রমূখ।

স্বাগত বক্তব্যে মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক বলেন, ‘শহীদ ক্ষতিগ্রস্ত সব পরিবারের পাশে আমরা আছি।  সামনে সবাইকে নিয়ে বড় আয়োজন করবো। যাদের মামলা আছে তাদেরকেও সহযোগিতা করবো।’