আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশের সড়ক ও মহাসড়কে যানজট নিরসন, দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিভাগের সহকারী সচিব জসিম উদ্দিনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত এক সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসব উদ্যোগ বাস্তবায়িত হচ্ছে।
গৃহীত উদ্যোগ গুলো হলো—
সড়ক সংস্কার: ঢাকা-রংপুর, ঢাকা-সিলেটসহ জাতীয় মহাসড়কের সংস্কার কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। ঈদের সময় সব উন্নয়নকাজ বন্ধ থাকবে। কাঞ্চনপুর ব্রিজের নির্মাণাধীন সড়ক খুলে দেওয়া হবে, এলেঙ্গা-যমুনা সেতু ও কাওয়াল ব্রিজ চার লেনে চালু হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘাটুরা ব্রিজ ঈদের আগেই চালু করা হবে।
যানজট নিয়ন্ত্রণ: যানজটপ্রবণ এলাকায় বিকল্প সড়কের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সদরঘাট, মহাখালী, সায়েদাবাদ, গাবতলী ও ফুলবাড়িয়া টার্মিনালে সিসিটিভি ও সার্চলাইট বসানো হয়েছে, যা পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে সংযুক্ত। ১৫৫টি যানজটপ্রবণ স্পট মনিটরিংয়ের আওতায় আনা হয়েছে।
মনিটরিং ও মোবাইল কোর্ট: হাইওয়ে পুলিশ, জেলা প্রশাসন ও ট্রাফিক বিভাগের সমন্বয়ে মনিটরিং টিম কাজ করছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ ও অনিরাপদ যান চলাচল রোধে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা: আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। ঢাকার বাস টার্মিনালে হেল্প ডেস্ক স্থাপন ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসয়েতে গতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
ফেরি ও গণপরিবহন: যানজট এড়াতে পর্যাপ্ত ফেরির ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিআরটিসির ৭৭৫টি বাস বিভিন্ন রুটে চালু থাকবে। গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য বিশেষ বাস সার্ভিস চালু হয়েছে।
সিএনজি স্টেশন: ২৬ মার্চ থেকে ঈদের পরবর্তী পাঁচ দিন সিএনজি স্টেশনগুলো ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে।
জরুরি সহায়তা: দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহন সরাতে উদ্ধারকারী দল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ৯৯৯ নম্বরে কল করে জরুরি চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাবে।
টোল ব্যবস্থা: পদ্মা, যমুনা সেতুসহ প্রধান সেতুগুলোর টোল প্লাজায় পর্যাপ্ত জনবল মোতায়েন করা হয়েছে এবং ইলেকট্রনিক টোল আদায় জোরদার করা হয়েছে।
গার্মেন্টস ছুটি: শ্রমিকদের ধাপে ধাপে ছুটি দেওয়া হচ্ছে এবং বেতন-ভাতা পরিশোধ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
বিআরটিএ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ: ঈদযাত্রার সময় যাত্রীদের সহায়তায় সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম চালু থাকবে। যোগাযোগ: ০১৫৫০-০৫১৬০৬, ০১৫৫০-০৫৬৫৭৭।
বিজ্ঞপ্তিতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ জানিয়েছে, নিরাপদ ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। ট্রাফিক আইন মেনে চলা এবং প্রয়োজনে হেল্পলাইনে যোগাযোগ করার জন্য যাত্রীদের প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে।