ক্রেতা সমাগমে জমে উঠেছে পোশাকের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আউটলেটগুলো। রাজধানীর অন্যতম আবাসিক এলাকা বনশ্রীতে রয়েছে পোশাকের নামিদামি ব্র্যান্ডের বেশ কিছু আউটলেট। এগুলোর মধ্যে সারা, লারিভ, আড়ং, কান্ট্রি বয়, ইজি, আর্টিসানের নাম শোনা যায় বেশি। ঈদ উপলক্ষে সবগুলো আউটলেটই জমজমাট। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পোশাক দিতে পেরে খুশি আউটলেটগুলোর বিক্রয়কর্মীরাও।
গত শনিবার সরেজমিন বিভিন্ন আউটলেট ঘুরে এমন চিত্রই চোখে পড়ে।
সারাদেশে পরিচিত পোশাকের ব্র্যান্ড আড়ংয়ের শো রুমে দেখা গেছে উপচে পড়া ভিড়। শাড়ি, পাঞ্জাবি, ছোট বাচ্চাদের নানান বাহারি পোশাক পাওয়া যায় এই আউটলেটে।
জিহাদ বলেন, ‘পাঞ্জাবি ছাড়াও ছোট বাচ্চাদের অনেক রকম পোশাক রয়েছে। রয়েছে শাড়ি। ১ হাজার ৩০০ থেকে শুরু করে লাখ টাকার ওপরে শাড়ির কালেকশন রয়েছে। বিক্রিও হচ্ছে ভালো।’
আড়ংয়ে পোশাক কিনতে আসা বেসরকারি এক ব্যাংকের কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের পছন্দের তালিকায় আড়ং সবার ওপরে থাকে। এ কারণে এখানে এসেছি। আজকে প্রথম ঈদ বাজার করতে বের হয়েছি। এখান থেকে আমি ও আমার ছেলের জন্য পাঞ্জাবি কিনবো। আড়ংয়ের পাঞ্জাবি আমার কাছে অনেক পছন্দের। ঈদে সাধারণত আড়ং থেকে পাঞ্জাবি কিনে থাকি। তাই এবারও আসছি।’
বাপ্পি বলেন, ‘আমাদের এখানে শার্ট, ছোট বাচ্চাদের পোশাক বেশি বিক্রি হচ্ছে।’
কথা হয় বিক্রয়কর্মী বখতিয়ারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের পাঞ্জাবি বেশি চলছে। বিশেষ করে গ্রামীণ চেকের পাঞ্জাবিগুলোর কাটতি অনেক বেশি। ছোট-বড় সব রকমের কালেকশন রয়েছে।’
বখতিয়ার বলেন, “পাঞ্জাবির পাশাপাশি শার্টও ভালোই চলছে।”
তিনি বলেন, ‘ঈদের বাজারে আমাদের আউটলেটের যে পরিমাণ কেনাবেচা তাতে করে ভালোই হচ্ছে বলবো।’
হাসিবুর রহমান নামে এক ক্রেতার সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘সারার সব পোশাকই উন্নতমানের। আমরা পাঞ্জাবি নেবো। পাঞ্জাবিগুলো ভালোই লাগছে।”
আর্টিসানের বিক্রয়কর্মী আহমেদ সাঈদ বলেন, ‘ঈদে ভালোই কেনাবেচা চলছে। আমাদের এখানে ছেলেদের টি-শার্ট, জিন্সপ্যান্ট ভালো বিক্রি হচ্ছে। ছোট-বড় সব ধরনের পোশাক রয়েছে। তবে টি-শার্ট বেশি বিক্রি হচ্ছে।’
এক প্রশ্নে সাঈদ বলেন, ‘লোকজন কমবেশি আসছে। আমাদের যে প্রত্যাশা তার চেয়ে একবারে কম কিংবা বেশি না। মাঝামাঝি পর্যায়ে রয়েছে।’
ইজিতে পোশাক কিনতে আসা ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জায়িফ আহমেদের সঙ্গে কথা হয়। জায়িফ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি মূলত টি-শার্ট কিনতে এসেছি। এখানকার টি-শার্ট ভালো মানের। দামটাও খুব বেশি না।’ আমার কয়েক বন্ধুও এখান থেকেই কিনেছে। এ কারণে আমিও এসেছি।’