রাজধানীতে তিন শিক্ষার্থীসহ ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার

রাজধানীর খিলগাঁও, যাত্রাবাড়ী ও বাড্ডা এলাকায় তিন শিক্ষার্থীসহ চার জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (৫ মে) দিবাগত রাতে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সংশ্লিষ্ট থানাগুলোতে প্রতিটি ঘটনার পৃথক অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ওই চার জন হলেন– সামিয়া আক্তার (১৪), শিহাবুল ইসলাম (২৪), প্রিয়ন্তী সরকার (১৪) ও বিথি আক্তার (২০)।

খিলগাঁও থানার উত্তর গোড়ান নবীনবাগ এলাকায় বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সামিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে স্থানীয় একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। অচেতন অবস্থায় পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খিলগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইলিয়াস মাহমুদ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন।

সামিয়া বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার চুনাখোলা এলাকার কবির শিকদারের মেয়ে।

খিলগাঁওয়ের রসুলবাগ এলাকায় নিজ কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় শিহাবুলকে। পরিবারের সদস্যরা দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শিহাবুল ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রিপলি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামে।

শিহাবুলের বড় বোন উম্মে সাইমা জানান, সেমিস্টার পরীক্ষায় ভালো ফল না হওয়ার আশঙ্কায় সে হতাশায় ভুগছিল। হতাশা থেকে সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।

যাত্রাবাড়ীর কাজলা ভাঙা প্রেস মাদবর গলি এলাকার একটি বাসা থেকে প্রিয়ন্তীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায়, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, পড়াশোনার জন্য অভিভাবকদের শাসনের কারণে সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।

পরিবারের সদস্যরা জানায়, প্রিয়ন্তী দরজা বন্ধ করে ঘরে ঢুকে দীর্ঘ সময় সাড়া না দিলে ছিটকানি ভেঙে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। রাত সোয়া ১টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

যাত্রাবাড়ী থানার এসআই মিজানুর রহমান জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

অপরদিকে, গৃহবধূ বিথির মরদেহ উদ্ধার করা হয় বাড্ডার একটি বাসার থেকে। তার স্বামী আসাদ মিয়া জানান, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝগড়া হলে তিনি বাইরে বেরিয়ে যান। ফিরে এসে ঘরের দরজা বন্ধ পেয়ে ডাকাডাকি করেন, সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে বিথিকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

বিথি নাটোরের লালপুর উপজেলার উত্তর লালপুর গ্রামের সাইদুর রহমানের মেয়ে। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. ফারুক বিথির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।