সরকারি এলপি গ্যাস নিয়ে হরিলুট, দুদকের অভিযান

সিলিন্ডারজাত সরকারি গ্যাস বিক্রয়ে অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (৬ মে) এই অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো আকতারুল ইসলাম।

দুদকের উপ-পরিচালক মো আকতারুল ইসলাম জানান, সরকারি এলপি গ্যাস বিক্রিতে অনিয়মের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে একটি  এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালায়।

অভিযানের সময় সংগৃহীত রেকর্ডপত্র, সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য এবং ডিলার ও গ্রাহকদের বক্তব্য বিশ্লেষণে দুদক কর্মকর্তারা জানতে পারেন, বিপিসির সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান এলপি গ্যাস লিমিটেড প্রতি বছর প্রায় ১৩ থেকে ১৪ হাজার মেট্রিক টন এলপিজি গ্যাস প্রায় ১৪ লাখ সিলিন্ডারে বোতলজাত করে ৪টি প্রতিষ্ঠান। সেগুলো হচ্ছে, পদ্মা, যমুনা, মেঘনা ও এশিয়াটিকের মাধ্যমে বাজারজাত করে। যেখানে প্রতি সাড়ে ১২ কেজি এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৬৯০ টাকা। এসব সিলিন্ডার উল্লিখিত ৪টি প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধিত ডিলারদের মাধ্যমে বাজারে সরবরাহের জন্য দেওয়া হয়।

আকতারুল ইসলাম জানান, যারা সরকারি ৬৯০ টাকা মূল্যের এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার হতে ক্রস ফিলিংয়ের মাধ্যমে বেসরকারি সিলিন্ডারে বোতলজাত করে প্রতি সিলিন্ডার ১ হাজার ৪০০  টাকা থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা দরে অসাধুভাবে বিক্রয় করে। অভিযানের সময় একজন ডিলার ১০-১৫ জন ডিলারের অথরাইজেশন নিয়ে একাই বরাদ্দকৃত গ্যাস উত্তোলন ও বেশি দামে বিক্রির তথ্য পায় দুদক টিম। সার্বিক বিবেচনায়, মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্স ও ভুয়া লাইসেন্স ব্যবহার করে সরকারি গ্যাস উত্তোলন ও  সরবরাহ করা হচ্ছে, এমনটি টিমের কাছেপরিলক্ষিত হয়। যাতে এলপি গ্যাস লি., বিপিসি ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে ব্যাপক অবহেলা ও তদারকির অভাব রয়েছে বলে টিমের কাছে প্রতীয়মান হয়। এ প্রক্রিয়ায় অসাধুভাবে সরকারি গ্যাস অধিক মূল্যে বিক্রয় করে অর্থ আত্মসাৎ করা হচ্ছে বলে প্রাথমিক তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে দুদক। এ বিষয়ে কমিশনের পরবর্তী সিদ্ধান্তের জন্য পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে।