বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দায়ের করা মামলায় আসামিদের গ্রেফতারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি নিতে হবে বলে ডিএমপি কমিশনারের আদেশের কার্যকারিতার ওপর হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছেন চেম্বার জজ আদালত।
বুধবার (৭ মে) আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. রেজাউল হকের নেতৃত্বাধীন চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে এ বিষয়ে আপিল বিভাগে শুনানির জন্য আগামী ১৫ মে দিন ধার্য করা হয়েছে।
এর আগে গত ৯ এপ্রিল ডিএমপির এক অফিস আদেশে বলা হয়, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সংক্রান্তে রুজুকৃত মামলায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এজাহারভুক্ত আসামির সংখ্যা অধিক। এসব মামলার এজাহারভুক্ত কিংবা তদন্তে প্রায় আসামি গ্রেফতারের নিমিত্তে উপযুক্ত প্রমাণসহ (ভিকটিম/বাণী/প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী, ঘটনা সংশ্লিষ্ট ভিডিও/অডিও/স্থির চিত্র ও সিডিআর ইত্যাদি) অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে গ্রেফতার ফরতে হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত বৈষম্যবিরোধী মামলার এজাহারভুক্ত কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত কোনও আসামি গ্রেফতার না ফরার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
পরে গত ২০ এপ্রিল ডিএমপি কমিশনারের পক্ষে সই করা ওই অফিস আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন রির্টটি দায়ের করেন।
রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে গত ২৩ এপ্রিল কমিশনারের পক্ষে সই করা অফিস আদেশের কার্যকারিতা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আসামিদের গ্রেফতারে ডিএমপি কমিশনারের পক্ষে সই করা ওই অফিস আদেশ কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। বিচারপতি ফাতেমা নজীব এবং বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
পরে হাইকোর্টের সে আদেশ স্থগিত চেয়ে চেম্বার জজ আদালত আবেদন জানায় রাষ্ট্রপক্ষ।