প্রকৌশলীদের অবদানেই বিমানবন্দরগুলো আধুনিকতার নতুন স্তরে পৌঁছেছে: বেবিচক চেয়ারম্যান

বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেছেন, আজকের দিনটি শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি প্রকৌশলীদের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার একটি প্রতীক, তাদের শ্রম, মেধা ও নিষ্ঠার প্রতি আমাদের সম্মান ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটি সুযোগ। তারা স্বপ্ন দেখেন, পরিকল্পনা করেন, নকশা তৈরি করেন, আর দিনের পর দিন, রাতের পর রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে সে স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেন।

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) উৎসবমুখর পরিবেশে ইঞ্জিনিয়ার্স ডে-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে বেবিচক সদর দফতরের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

বুধবার (৭ মে) সন্ধ্যায় বেবিচকের প্রধান প্রকৌশলীর দফতরে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, বেবিচক সৌভাগ্যবান, কারণ এখানে রয়েছে একদল দক্ষ, নিষ্ঠাবান এবং অভিজ্ঞ প্রকৌশলী—যাদের অবদানের ফলেই আজ দেশের বিমানবন্দরগুলো আধুনিকতা ও নিরাপত্তার এক নতুন স্তরে পৌঁছেছে। বিশেষ করে দৃশ্যমান অবকাঠামো উন্নয়নে তাদের অবদান সত্যিই প্রশংসনীয়। টার্মিনাল, রানওয়ে, এটিসি টাওয়ার, ফায়ার স্টেশন থেকে শুরু করে নিরাপত্তা ও নেভিগেশনের আধুনিকীকরণে তাদের নিরলস প্রচেষ্টা আমাদের বিমান চলাচল ব্যবস্থাকে করেছে আরও কার্যকর ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন।

তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তির সফল প্রয়োগ প্রকৌশলীদের সৃজনশীলতা ও দক্ষতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) মো. জাকারিয়া হোসেন, বেবিচক সদস্য (পরিচালনা ও পরিকল্পনা) এয়ার কমডোর আবু সাঈদ মেহ্‌বুব খান এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বেবিচকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, আমন্ত্রিত অতিথি ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা।

অনুষ্ঠানে ছিল মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। দিনটির তাৎপর্য উদযাপন করতে কেক কাটা, প্রকৌশলীদের কর্মযজ্ঞ নিয়ে নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র (ডকুমেন্টারি) প্রদর্শন, নৃত্য, নাটক, সঙ্গীতানুষ্ঠান ও কবিতা আবৃত্তির মতো নানা বর্ণাঢ্য আয়োজন সম্পন্ন হয়।