জুলাই আন্দোলন কেন্দ্রিক রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। গ্রেফতার শুনানি শেষে হাজতে নেওয়ার পথে তিনি বলেন, ইউনূস জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত প্রেম করে, অবৈধ প্রেম করে টিকে আছে। এই প্রেম বেশি দিন টিকবে না।
বুধবার (১৪ মে) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমান। এদিন সকালের দিকে শাজাহান খানকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। পরে বুলেট প্রুপ জ্যাকেট, মাথায় হেলমেট ও পিছমোড়া হাত কড়া পরিয়ে সকাল সাড়ে ১০টায় যাত্রাবাড়ী থানার বিভিন্ন মামলায় অন্য প্রভাবশালী মন্ত্রী-এমপিদের সঙ্গে আদালতের এজলাসে উঠানো হয়। এজলাসের মাঝামাঝিতে হাসানুল হক ইনু ও রাশেদ খান মেননের পাশে দেয়াল ঘেঁষে দাঁড়িয়েছিলেন এ রাজনীতিক। শুনানির সময় চুপচাপ দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। গ্রেফতার আবেদন মঞ্জুরের পর ছয় তলা থেকে তাদের সিড়ি দিয়ে হাঁটিয়ে নিচে নামানো হয়। সিঁড়ি দিয়ে নামানোর সময় তিনি বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করেন।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে শাহাজান খান বলেন, আগে সাংবাদিকদের স্বাধীনতা অর্জন করতে হবে। তোমরা লিখতেও পারো না, দেখাতেও পারো না।
এক সাংবাদিক শাজাহান খানকে লক্ষ্য করে বলেন, দল তো নিষিদ্ধ হয়ে গেল, নির্বাচন করবেন কীভাবে? প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সুযোগ যখন পাবো, তখন ইনশাআল্লাহ করবো। আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করা যায় না, আওয়ামী লীগ ফিনিক্স পাখির মতো।’ তখন তিনি খুব হাসিখুশি ছিলেন।
এ সময় এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন তাহলে জুলাই-আগস্টের বিষয়ে কী হবে? উত্তরে শাজাহান খান বলেন, ‘জুলাই আগস্টের ঘটনার জন্য যদি জবাবদিহি করতে হয়, করবো। অনুশোচনা প্রকাশ করতে হলে করবো।’
নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এনসিপি আতুরঘরে কালাজ্বরে ভুগছে। আর জামায়াত ইসলামের কোলে বসে জামাতিদের শুরা (মদ/শরবত) পান করছে। ইউনূস জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত প্রেম করে, অবৈধ প্রেম করে টিকে আছে। এই প্রেম বেশি দিন টিকবে না।’
এরপর ধীরে ধীরে তাকে হাজতখানার মধ্যে প্রবেশ করানো হয়।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে শাজাহান খানকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর দফায় দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয় তাকে। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক আছেন।