৮৫ ভরি স্বর্ণালংকার-নগদ অর্থসহ ৩ জন গ্রেফতার

৮৫ ভরি স্বর্ণালংকার, কপারযুক্ত ২৬ ভরি সোনা এবং নগদ ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ সংঘবদ্ধ একটি অনলাইন প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে নিউমার্কেট থানা-পুলিশ। শুক্রবার (১৬ মে) ঢাকার সাভার ও মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।  

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলো মো. আসিফুর রহমান (২০), মো. আল আমিন (২৫) ও অনামিকা (২৪)।

শনিবার (১৭ মে) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আসুদ আলম এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ভুক্তভোগী এক নারী গত ১৫ জানুয়ারি ‘দোয়া কবুলের অলৌকিক গল্প’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে একটি পোস্ট দেখতে পান। সেখানে ‘তদবির রুকাইয়া’ নামে এক নারীর পোস্ট দেখে তিনি মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করেন। পরে আরও একটি ফেসবুক আইডির মাধ্যমে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় এবং তাকে জানানো হয়, তার সন্তান না হওয়ার সমস্যার সমাধান সম্ভব।

পরে ১৮ জানুয়ারি ভুক্তভোগী নারীকে একটি নির্দিষ্ট নম্বরে ৬ হাজার ১০০ টাকা বিকাশ করতে বলা হয়। চক্রের সদস্যরা ওই নারীকে জানায়, তার ব্যবহৃত জামাকাপড়, শ্যাম্পু, সাবান, তেল ও স্বর্ণের গহনা কুরিয়ার করে পাঠালে ঝাড়ফুঁক করে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা ফেরত পাঠানো হবে। তাদের কথায় ওই নারী ২৫ ভরি স্বর্ণসহ অন্যান্য জিনিস পাঠিয়ে দেন। এরপর থেকেই প্রতারক চক্র তাকে মেসেঞ্জারে ব্লক করে দেয়।

এ ঘটনায় নিউমার্কেট থানায় একটি মামলা করেন ভুক্তভোগী। মামলার তদন্তে প্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার রাত ৩টা ২০ মিনিটে সাভার থেকে আসিফুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মোহাম্মদপুরের বছিলা ফিউচার হাউজিংয়ের একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে আল আমিন ও অনামিকাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারের সময় আসিফুরের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন ও সিম উদ্ধার করা হয়। অন্যদিকে আল আমিন ও অনামিকার হেফাজত থেকে ৮৫ ভরি স্বর্ণালংকার, কপারযুক্ত ২৬ ভরি স্বর্ণ, নগদ ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং দুটি দামি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।

নিউমার্কেট থানা পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার ব্যক্তিরা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য এবং তারা মানুষের বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দেওয়ার নামে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।