স্ত্রী-মেয়েসহ নানক ও তাজুল ইসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা 

সাবেক পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, তার স্ত্রী সৈয়দা আরজুমান বানু এবং মেয়ে এস আমরীন রাখীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। এছাড়া সাবেক মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন এবিএম তাজুল ইসলামেরও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (১৮ মে) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। 

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। 

এদিন জাহাঙ্গীর কবির নানক পরিবারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদক পরিচালক জালাল উদ্দিন আহাম্মদ।

আবেদনে বলা হয়, আসামি জাহাঙ্গীর কবির নানক ও তার পরিবার দেশ ছেড়ে বিদেশে পালাতে পারেন মর্মে তদন্তকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। তারা বিদেশ পালিয়ে গেলে মামলার কার্যক্রম দীর্ঘায়িত ও ব্যাহত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন। 

তাজুল ইসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন সংস্থার সহকারী পরিচালক হাবিবুর রহমান।

আবেদনে বলা হয়, তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিপুল অর্থ বৈভবের মালিক হওয়ার অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিচারিক প্রক্রিয়া এড়াতে যে কোনও সময় দেশত্যাগ করার সম্ভবনা রয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার বিদেশ গমনের সুযোগ রহিত করা প্রয়োজন।

গত ১৫ জানুয়ারি টেলিকম কোম্পানির মাধ্যমে ২৬০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে জাহাঙ্গীর কবির নানকের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

মামলায় নানকের স্ত্রী সৈয়দা আরজুমান বানু, মেয়ে এস আমরীন রাখীকেও আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, সৈয়দা আরজুমান বানু ও এস আমরীন রাখি রাতুল টেলিকম লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও পরিচালকের দায়িত্বে থাকার সময় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে ২৫৯ কোটি ৬২ লাখ ৫ হাজার ১৫৮ টাকার সমমূল্যের ৩ কোটি ৩২ লাখ ৮৪ হাজার ৬৮১ মার্কিন ডলার পাচার করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এ সময় জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি ও মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তার প্রভাব খাটিয়ে মুদ্রা পাচারে তার স্ত্রী ও মেয়েকে সহযোগিতা করে দণ্ডবিধি এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।