পরিবারসহ পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নাফিজ সরাফতের ফ্ল্যাট, প্লট ও জমি জব্দের আদেশ

দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ থাকায় পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফত, তার স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শহিদ এবং তার পুত্র চৌধুরী রাহিব সাফওয়ান সরাফতের ১৯টি ফ্ল্যাট, ৪ প্লট, ২টি বাড়িসহ ৮৫ দশমিক ২৯ শতাংশ জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

মঙ্গলবার (২০ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান জব্দের আবেদন করেন।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সারাফত ও অন্যদের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা ও নিজেদের মাধ্যমে একে অপরের যোগসাজশে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎসহ মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে দুদকের ৩ সদস্য অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায় , চৌধুরী নাফিজ সরাফত, তার স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শহিদ এবং তার পুত্র চৌধুরী রাহিব সাফওয়ান সরাফতের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাবর সম্পত্তির তথ্য পাওয়া গেছে। বর্তমানে তারা পলাতক রয়েছেন। প্রাথমিকভাবে স্থাবর সম্পত্তিগুলো মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে সম্পৃক্ত অপরাধ তথা দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত বা বৈধ আয়বহির্ভূতভাবে অর্জন করা হয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর সঙ্গে তার ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে সম্পদ অর্জনের বিষয়টি মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও (৩) ধারা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ মোতাবেক শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

দুর্নীতি দমন কমিশন অনুসন্ধান শুরুর পর থেকে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/ব্যক্তিরা স্থাবর সম্পত্তিগুলো অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তার, বন্ধক বা বেহাত করার জন্য বিভিন্ন প্রচেষ্টা করছেন মর্মে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। বর্তমানে অভিযোগটির সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্থাবর সম্পত্তিগুলো অবিলম্বে ক্রোককরণ আবশ্যক।