জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে ‘রাজাকার’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে তার জামিনে মুক্তি নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও ড. ইউনূসের সমালোচনা করেছে ‘প্রতিরোধে একাত্তর’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম।
রবিবার (১ জুন) রাতে ‘আইসিএসএফ’, ‘গ্লোবাল জাস্টিস নেটওয়ার্ক’, ‘এ টিম’, ‘মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনো’, ‘দ্যা ক্র্যাক টিম’, ‘প্রিসেট ৭১’, ‘গেরিলা ১৯৭১’, ‘ক্র্যাক প্লাটুন’, ‘রোগ পরিচর্যা কেন্দ্র’ ও ‘বিজয়গাথা’ নামের একাধিক প্ল্যাটফর্মের সংগঠকদের নিয়ে ‘প্রতিরোধে একাত্তর’ শীর্ষক একটি ভার্চুয়াল সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারে বক্তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও জামায়াত নেতা আজহারের মুক্তির কড়া সমালোচনা করেন।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, জামায়াত নেতা আজহারের মুক্তির মাধ্যমে সরকার আবারও প্রমাণ করেছে যে, এটি রাজাকার-সমর্থিত সরকার। তার অধীনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধীরে ধীরে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। বিগত ৯ মাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন একে একে মুছে ফেলার চেষ্টা করছে।
সেমিনারে অংশ নিয়ে ক্র্যাক প্লাটুন, বাংলাদেশের সংগঠক নিলয় বলেন, ‘২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে কী ঘটেছিল, সেটা সবার জানা। আবারও মুক্তিযুদ্ধবিরোধীরা ঘাঁটি গেড়ে বসেছে। এখন স্বাধীনতার চেতনা পুনরুজ্জীবিত করাই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যেই যুব সমাজকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।’
অন্য এক অ্যাক্টিভিস্ট হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা আজকে কুখ্যাত রাজাকার এটিএম আজহারের মুক্তির প্রতিবাদ জানাতে একত্র হয়েছি। তাকে যেন আবারও বিচারের মুখোমুখি করা যায়, সেই দাবি জানাচ্ছি।’