কোরবানির বর্জ্য ১২ ঘণ্টার মধ্যে সরানোসহ ৮ দাবি বাপার 

কোরবানির পশু নির্দিষ্ট স্থানে জবাই করা এবং ১২ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির সকল বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থা নেওয়াসহ ৮ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)।

মঙ্গলবার (৩ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাপা আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, যত্রতত্র কোরবানি করার কারণে ঢাকা মহানগরীর সাধারণ পরিবেশ একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। নগরবাসীর যাতায়াত, চলাফেরা ও অন্যান্য দৈনন্দিন কার্যক্রম অবিন্যস্ত বা বাধাগ্রস্ত হয়। এ অবস্থা থেকে নগরজীবনকে রক্ষা করার জন্যই সিটি করপোরেশন কোরবানির পশুর জন্য কিছু স্থান নির্দিষ্ট করে দিয়ে থাকে, হাটগুলোতে এক ধরনের ব্যবস্থাপনাও নিশ্চিত করা হয় কিন্তু অনির্ধারিত, রাস্তার ধারের পশুর হাট ন্যূনতম ব্যবস্থাপনার বাইরে থেকে যায়। দেখা যায়, ঈদের পর অন্তত দশ দিন সারা শহরের চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়, পশুর খাদ্য-উচ্ছিষ্ট ও মলমূত্রে দুর্গন্ধময়-অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে আশপাশের এলাকার জনজীবন।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে বাপা’র যুগ্ম সম্পাদক ড. হালিম দাদ খান বলেন, নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি করার জন্য নিজ নিজ শপথ নিতে হবে। কোরবানির পশু নির্দিষ্ট স্থানে জবাই ও কোরবানির সকল বর্জ্য সঠিক ব্যবস্থাপনায় অপসারণ করার জন্য সরকারিভাবে বিভিন্ন মিডিয়াতে ধারাবাহিকভাবে প্রচারের ব্যবস্থা করা। একইসাথে ঈদগাহ ময়দানে ইমামদের ঈদের বয়ানের সাথে এ বিষয়ে সচেতন করার উদ্যোগ গ্রহণের ব্যবস্থা নিতে হবে।

বাপা’র দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে— যত্রতত্র পশুর হাট বসানো সম্পূর্ণ বন্ধ ও নির্ধারিত স্থানে পশু বেচা-কেনা নিশ্চিত করতে হবে, পশুর হাটের প্রতিদিনের বর্জ্য দিন শেষে নিয়মিত ও সম্পূর্ণ অপসারণ করতে হবে, এলাকাভিত্তিক নির্ধারিত-স্থানে কোরবানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে, কোরবানির পর ১২ ঘণ্টার মধ্যে সকল বর্জ্য অপসারণ করতে হবে, সিটি করপোরেশনের আর্থিক, জনবল, যানবাহনসহ সার্বিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে; পাড়া-মহল্লা ভিত্তিক নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি ও নিয়মিত পশু জবাইয়ের স্থায়ী কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে, খোলা জায়গা, আশপাশের নদী, খাল, ড্রেন বা রাস্তায় বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে হবে এবং জরুরি যোগাযোগ সেন্টার স্থাপন করে হটলাইন নম্বর চালু করার মাধ্যমে নাগরিকদের অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে।

সমাবেশে যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবির সুমনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তৃতা করেন বাপা’র সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর কবির, নির্বাহী সদস্য জাভেদ জাহান, জাতীয় কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দীন, হাজী শেখ আনছার আলী, তরিকুল ইসলাম রাতুল ও মোনসেফা তৃপ্তি, গ্রিন ভয়েসের সহ-সমন্বয়ক আরিফুর রহমান ও তেজগাঁ শাখার সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার কবির হৃদয়।