কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ঢাকায় কোরবানির পশু জবাই করতে বিমানযোগে এসেছেন দিনাজপুর ও সৈয়দপুরের একদল কসাই। প্রথমে বিষয়টি অবিশ্বাস্য মনে হলেও, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে—এটি সত্য।
শুক্রবার (৬ জুন) সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে ঢাকায় শেষ ফ্লাইটে প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন কসাই এসেছেন বলে জানিয়েছে একাধিক ট্রাভেল এজেন্সি। ঢাকায় কসাই সংকট থাকায় ঈদ মৌসুমে এসব অঞ্চলের অভিজ্ঞ কসাইদের চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। অনেকেই চুক্তি অনুযায়ী আগেভাগেই ঢাকায় চলে আসেন।
সৈয়দপুরের বেঙ্গল ট্রাভেলসের মালিক তোফায়েল আহম্মেদ জুয়েল জানান, বাংলাদেশ বিমান, নভোএয়ার ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে সৈয়দপুর থেকে ঢাকার ভাড়া গড়ে ৪ হাজার ৮০০ টাকা। ঈদের আগে ও পরে যাত্রী চাপ কম থাকায় তুলনামূলকভাবে কম দামে টিকিট পাওয়া যায়, আবার যানজটের ঝামেলা থেকেও মুক্ত থাকা যায়। এজন্য কসাইরা এখন বিমানে যাতায়াত করছেন। অনেকে ফিরতি টিকিটও কেটে রেখেছেন।
ঢাকায় আসা কসাইদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকায় আসার আগেই পশু জবাই ও মাংস কাটার দরদাম করে তারা চুক্তিবদ্ধ হন। প্রতি হাজার টাকায় ২০০ টাকা হারে পারিশ্রমিক গ্রহণ করেন। অর্থাৎ, ১ লাখ টাকার পশু কাটার পারিশ্রমিক হিসেবে তারা পান প্রায় ২০ হাজার টাকা।
সৈয়দপুরের এক অভিজ্ঞ কসাই বলেন, ‘ভালো একটি টিম নিয়ে তিন দিনে ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকার কাজ করা সম্ভব। তবে এর জন্য চাই দক্ষতা ও দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা।’
ঢাকার বনশ্রী এলাকায় একদল কসাইয়ের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তাদের একজন জানান, তারা কোরাবানির পশুর দাম হিসাবে প্রতি হাজারে ১০০ থেকে ১২০ টাকা হারে পারিশ্রমিক নিচ্ছেন। ইতোমধ্যেই তারা ৫টি গরু কাটার চুক্তি সম্পন্ন করেছেন এবং আরও অন্তত ২০টি গরুর চুক্তির আশা করছেন। সাত সদস্যের এই দলটি ঈদের দিন সকাল থেকেই পুরোদমে কাজে নামবেন।