জাতীয় পরিচয়পত্রের ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে লাশ শনাক্ত

লাশ উদ্ধাররাজধানীর গুলশান থেকে উদ্ধার করার ২০দিন পর অজ্ঞাত তরুণীর লাশের পরিচয় পেয়েছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ঘাতক সুজন বিশ্বাসকেও। নিহত তরুণীর নাম কাজলী বেগম (২২)। তার গ্রামের বাড়ি রংপুরের বদরগঞ্জে। পেশায় তিনি ছিলেন বিউটি পার্লার কর্মী।
গত ৫ মার্চ সকালে পুলিশ গুলশান-১-এর ১২ নম্বর রোডের ১১ নম্বর বাড়ির একটি ফার্নিচারের দোকানের পাশ থেকে ক্ষত-বিক্ষত এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করে। পরদিন ‘গারো তরুণীর লাশ উদ্ধার’ বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবরও বের হয়েছিল। ওই সময় এ ঘটনায় গুলশান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আব্দুল আহাদ জানান, তরুণীর লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ তা শনাক্তের জন্য বিভিন্ন স্থানে অনুসন্ধান চালায়। কিন্তু কেউ তার পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি। এ অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গ থেকে লাশের ফিঙ্গার প্রিন্ট সংগ্রহ করা হয়। পরবর্তী সময়ে জাতীয় পরিচয় পত্রের ডাটাবেজের মাধ্যমে তার ঠিকানা পাওয়া যায়। এরপর খবর দিলে তরুণীর ভাই ঢাকায় এসে নিহতের লাশ শনাক্ত করেন। নিহত তরুণীর ভাইয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় সুজন বিশ্বাস নামের এক যুবককে। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিমপুরে। কাজলী বেগম হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছেন।
আব্দুল আহাদ জানান, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সুজন জানিয়েছে কাজলীর সঙ্গে তার গ্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে বিরোধ তৈরি হলে সে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সুজন গত ৪ মার্চ সন্ধ্যায় কাজলীকে নিয়ে সংসদ ভবন এলাকায় ঘুরতে আসে। এক পর্যায়ে রাত দশটার দিকে বাসায় ফেরার কথা বলে তাকে নিয়ে যায় তেজগাঁও বিজয় সরণি ফ্লাইওভারের নিচে নির্জন স্থানে। সেখানে ছুরিকাঘাতে তাকে হত্যার পর লাশ গুলশানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

/জেইউ/এমএনএইচ/