রাজধানীর নতুন বাজারে সড়ক অবরোধ করেছেন ইউআইইউ শিক্ষার্থীরা

ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) ২৬ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ পাঁচ দফা দাবিতে নতুন বাজারে প্রগতি সরণি (কুড়িল-রামপুরা সড়ক) অবরোধ করে অবস্থান নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।  শনিবার (২১ জুন) সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে তারা এই অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। এরফলে আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

অবস্থান চলাকালে ‘পা চাটলে পুরস্কার, না চাটলে বহিষ্কার’; ‘বহিষ্কার প্রত্যাহার, করতে হবে করতে হবে’; ‘হয় বহিষ্কার বাদ যাবে, না হয় আমার লাশ যাবে’; ‘অথোরিটি স্বৈরাচার, এবার তোরা গদি ছাড়’ প্রভৃতি স্লোগান দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের ফলে রামপুরা, বাড্ডা, গুলশান, কুড়িল, বসুন্ধরাসহ আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

আন্দোলনকারীরা জানান, গত ২৬ এপ্রিল তিন দফা দাবিতে তারা আন্দোলনে নামেন। পরে সেই দাবিগুলোর সমাধান হলেও পরবর্তী সময়ে প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। যদিও এদের মধ্যে চার জনের বহিষ্কারাদেশ পরে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সালমান বারি রিজাল বলেন, ‘২৬ এপ্রিলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তার পক্ষে কর্তৃপক্ষ কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেনি। অথচ আমাদের দেওয়া শোকজ নোটিশ এবং বহিষ্কারাদেশ সম্পূর্ণভাবে ওই দিনের ঘটনাকেই ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।’

নতুন বাজারে ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আন্দোলনের পক্ষে ফেসবুকে পোস্ট, মন্তব্য বা মিম শেয়ার করেছি—এমন স্ক্রিনশট দেখিয়ে আমাদের একের পর এক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অথরিটির ভাষ্য অনুযায়ী, এটাই নাকি বহিষ্কারের কারণ। অথচ এসব পদক্ষেপ সরাসরি বাকস্বাধীনতার লঙ্ঘন।’

শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, বহু চেষ্টা করেও তারা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) বা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কোনো প্রশাসনিক সহায়তা পাননি। বাধ্য হয়ে তারা এখন সড়কে অবস্থান নিয়েছেন।