পাঁচ দাবিতে এনটিআরসিএর সামনে মহাসমাবেশের ঘোষণা

পাঁচ দফা দাবি আদায়ে আগামী রবিবার (২৯ জুন) বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) ভবনের সামনে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চাকরিপ্রত্যাশীরা।

শুক্রবার (২৭ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) শফিকুল কবির মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন চাকরিপ্রত্যাশী শাহাদাত হোসেন।

শাহাদাত হোসেন বলেন, আমরা গত ১৫ তারিখ থেকে লাগাতার আন্দোলন করছি। কিন্তু আমরা কোনোভাবেই উপদেষ্টা মহোদয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারি নাই। আমরা তার সঙ্গে দেখা করতে চাই।

এসময় তিনি বলেন, আমাদের ২০ হাজার চাকরিপ্রত্যাশীর মাধ্যমে আমাদের লাগাতার আন্দোলন চলছে। তার অংশ হিসেবে আগামী রবিবার (২৯ জুন) সকাল ৮টায় এনটিআরসি ভবনের সামনে একটি মহাসমাবেশের আয়োজন করতে যাচ্ছি। একইসঙ্গে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হবে বলেও জানান তিনি। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চাকরিপ্রত্যাশী সোনিয়া আক্তার। এসময় তিনি ৫ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো—

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ভাইভা ফলাফল পুনঃনিরীক্ষা করে সনদ ও মৌলিক কাগজপত্র ঠিক থাকা সব প্রার্থীকে পাস করানো; যেহেতু এনটিআরসিএর বিধিমালায় ভাইভার মোট নম্বরের ৪০ শতাংশ পেলেই পাসের কথা বলা হয়েছে। তাই যাদের সনদ ও প্রশ্নোত্তরের নম্বর মিলে ৪০ শতাংশ বা তার বেশি আছে তাদের সবাইকে পাস করিয়ে নিয়োগ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে; যেহেতু লিখিত পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতেই সনদ প্রদান করা হয় আর ভাইভা অংশগ্রহণকারী সকল প্রার্থী যেহেতু লিখিত অংশে ৪০ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর পেয়েছেন, তাই তাদের সকলকেই ই-সনদ প্রদান করা হোক; যেহেতু এনটিআরসিএ লিখিত পরীক্ষায় নিজেদের করা ‘প্রশ্নের ধারা ও মানবণ্টন’ বহির্ভূত বিকল্প প্রশ্নবিহীন প্রশ্নপত্রে আমাদের পরীক্ষা নিয়েছে এবং সে লিখিত পরীক্ষায় আমরা পাস করে এসেছি এবং আমাদের বেশিরভাগেরই ভাইভার সনদে ১২ নম্বর রয়েছে তাই মানবিক বিবেচনায় হলেও পাস করানো হোক; এবং ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির সকল কার্যক্রমে আমাদেরকেও লিখিত পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে মেধাতালিকায় যুক্ত করে নিয়োগ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হোক।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চাকরিপ্রত্যাশী সোহেল রানা, আবু তাহের, নীলুফা ইয়াসমিন প্রমুখ।