বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হচ্ছে আরও দুইটি এয়ারক্র্যাফট। লিজ নিয়ে তা বহরে যুক্ত করা হচ্ছে। এতে করে বিমানের এয়ারক্র্যাফটের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এমন নয়। খুব শিগগিরই দুইটি এয়ারক্র্যাফট ফেরত দিতে হবে। যে কারণে আরও দুইটি সংযোজন করছে কর্তৃপক্ষে। ফলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এয়ারক্র্যাফটের সংখ্যা যা ছিল (২১টি), তা-ই থাকছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. সাফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের দুইটি বোয়িংয়ের লিজের মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে ফেরত দিতে হচ্ছে। আন্তর্জাতিক রুটে ক্যাপাসিটির ঘাটতি হবে। এই ঘাটতি পূরণে আমরা আরও দুটি এয়ারক্র্যাফট লিজ নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। আগামী দুই মাসের মধ্যে আমরা এটি সংযোজন করবো। তবে এই দুইটি এয়ারক্র্যাফট বোয়িং নাকি এয়ারবাস হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সরাসরি কোম্পানি কিংবা লিজিং প্রতিষ্ঠান থেকে দুইটি এয়ারক্র্যাফট সংযোজন করবো।’
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্র জানায়, বহরে থাকা ৬টি বোয়িং ৭৩৭ এর মধ্যে লিজকৃত দুটি ৭৩৭ এয়ারক্র্যাফটের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ফেরত দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে এয়ারক্র্যাফটের ক্যাপাসিটির যে ঘাটতি হবে সেটি পূরণের জন্য বিমান ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ চার দফা আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করলেও কাঙ্ক্ষিত এয়ারক্র্যাফট সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। কেননা সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ এসিআইএম লিজকৃত এয়ারক্র্যাফটের বয়স ১৫ বছর বেঁধে দেওয়ায় বিমানের অধিকাংশই দরপত্র অংশগ্রহণ করায় ননরেসপন্সিভ হয়েছে। বর্তমানে বিমান কর্তৃপক্ষ এয়ারক্র্যাফট মালিক অথবা লিজিং কোম্পানির সঙ্গে সরাসরি লিজগ্রহণ করছে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ২-৩ মাস লেগে যাতে পারে। এই প্রক্রিয়ায় বিমান কর্তৃপক্ষ এয়ারক্র্যাফট লিজগ্রহণ করতে সক্ষম হলে বিমান লাভবান হবে। কেননা এই প্রক্রিয়ার মধ্যে মধ্যস্বত্বভোগী বা সিন্ডিকেট থাকে না।
সূত্র আরও জানায়, নতুন এয়ারক্র্যাফট ক্রয়ের জন্য ইতোমধ্যে বোয়িং ও এয়ারবাস কোম্পানি ১৪টি করে মোট ২৮টি এয়ারক্র্যাফটের প্রস্তাব দাখিল করেছে। উক্ত প্রস্তাব বিমানের নিয়মানুসারে টেকনো ফিন্যান্সিয়াল কমিটির কাছে মূল্যায়নের জন্য কার্যক্রম চলমান রয়েছে। টেকনো ফিন্যান্সিয়াল কমিটির মূল্যায়ন কার্যক্রম বিমান পরিচালনা পর্ষদের কাছে দাখিল করা হবে। সেক্ষেত্রে বিমান ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেবে পর্ষদ।
ঢাকায় অবস্থিত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকেও এর কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
বিমান ২৫টি গন্তব্যে সেবা দিচ্ছে, যার মধ্যে ১৭টি আন্তর্জাতিক গন্তব্য। ভবিষ্যতে আরও ৪৩টি দেশে গন্তব্য সম্প্রসারণের জন্য বাংলাদেশের পরিষেবা চুক্তি রয়েছে। ওইসব আন্তর্জাতিক রুটে পরিষেবা চালু করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একাধিক ওয়াইড বডি এয়ারক্র্যাফট ক্রয় করা প্রয়োজন। বর্তমানে বিশ্বের ১৬টি শহরে ও বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স তাদের সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে।