জুলাই আন্দোলনকেন্দ্রিক রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় মো. সোহেল রানা নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা চেষ্টায় মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও ছাত্রলীগ নেতা রাজা বাদশা পিচ্চি রাজাকে গ্রেফতার দেখিয়েছেন আদালত। এছাড়াও কাফরুল থানায় মো. আতিকুল ইসলাম নামে হত্যা মামলায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলমের গ্রেফতার আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।
বুধবার (২ জুলাই) সকালে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত এ আদেশ দেন। এদিন সকালে কারাগারে থেকে আসামিদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে এজলাসে ওঠানো হয়। পাঁচ মিনিট পরে বিচারক এজলাসে ওঠে বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন। শুনানি শেষে আবারও কঠোর নিরাপত্তা মধ্যে দিয়ে ১০টা ২০ মিনিটে তাদের সিএমএমের হাজতখানায় নেওয়া হয়।
এর আগে, মোহাম্মদপুর থানার সোহেল রানাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হকসহ চার জনকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা একই থানার উপ-পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান। এছাড়া কাফরুল থানায় আতিকুল ইসলাম হত্যা মামলায় সাবেক সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলমকে গ্রেফতার দেখানো আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মো. আল মামুন। শুনানি শেষে আদালত তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
সোহেল রানা হত্যাচেষ্টা মামলার সূত্রে জানা গেছে, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট মোহাম্মদপুরের তিন রাস্তা মোড় এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেন সোহেল রানা। ওদিন দুপুর আড়াইটায় আসামিদের ছোড়া গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। এখনও পুরোপুরি সুস্থ হননি সোহেল রানা। এ ঘটনায় গত ১১ জুন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে ২২২ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যাচেষ্টা মামলাটি দায়ের করেন।
আতিকুল ইসলাম হত্যা মামলার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই বিকালে রাজধানীর কাফরুল থানার বিআরটিএ অফিসের পেছনের রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হন আতিকুল ইসলাম। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ২৩ ডিসেম্বর ব্যবসায়ী আহসান হাবীব রাজধানীর কাফরুল থানায় একটা হত্যা মামলা করেন।