জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আরও ৫ কর্মকর্তার দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান দুদকের সহকারী পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা তানজির আহমেদ। দুদিন আগে এনবিআরের আরও ১১ জন শীর্ষ কর্মকর্তার দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরুর কথা জানায় দুদক।
এতে বলা হয়, কিছু অসাধু সদস্য ও কর্মকর্তা কর এবং শুল্ক আদায়ের ক্ষেত্রে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে কর দাতাদের কর ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য নির্ধারিত পরিমাণ কর আদায় না করে তাদের করের পরিমাণ কমিয়ে দিতেন মর্মে অভিযোগ রয়েছে দুদকের কাছে। যে কারণে প্রতি বছর সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কিছুক্ষেত্রে কর্মকর্তারা ঘুষ না পেয়ে কর ফাঁকি দেওয়ার মিথ্যা মামলা করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মালিককে হয়রানি করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনেক করদাতা আগাম কর দেন। আবার কেউ কেউ বেশি কর দেন। নিয়ম হচ্ছে—এই কর হিসাবনিকাশ করার পর বেশি দেওয়া হলে, তা ওই করদাতাকে ফেরত দিতে হয়। কিন্তু তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ আর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অভিযোগ থেকে জানা যায়, করের বাড়তি টাকা ফেরত পেতে আরও অন্তত অর্ধেক টাকা ঘুষ বা উপহারে খরচ করতে হয়। অভিযোগ রয়েছে, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর কর্মকর্তারা করের টাকা ফেরত দিতে নিজেরাও কামিয়ে নিচ্ছেন মোটা অংকের টাকা।
একইভাবে, বিগত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন স্টেশনে চাকরিকালীন বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে শুল্ক, ভ্যাট ও ক্ষেত্র বিশেষে আয়কর ফাঁকির সুযোগ করে দিয়ে নিজে লাভবান হয়ে রাষ্ট্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করার মাধ্যমে দুর্নীত, স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এমন অভিযোগে কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট কমিশনার কাজী মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, বেনাপোল স্থলবন্দরের কমিশনার মো. কামরুজ্জামান, রাজশাহী কর সার্কেল ৭-এর উপ কর কমিশনার মো. মামুন মিয়া, আয়কর গোয়েন্দা ইউনিটের অতিরিক্ত কর কমিশনার সেহেলা সিদ্দিকা এবং ঢাকা কর অঞ্চল ২-এর কর পরিদর্শক লোকমান আহমেদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক।