ডেকে নিয়ে হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যা, মরদেহ ফেলা হয় খালে

মাদক ব্যবসার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের রতনকে (৩৮) গলা ও হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ ফেলা হয় খালে।

এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ইয়ানুছকে (৪০) গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাব-১১ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।

রতন জেলার কাঁচপুর এলাকার মালেক মোল্লার ছেলে। তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সোনারগাঁয়ের নাওড়া বিটা এলাকার দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ইয়ানুছ রূপগঞ্জ থানার বরাব মুগড়াকুল এলাকার মৃত নবুর ছেলে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গত ১৭ জুন সকালে সোনারগাঁও উপজেলার ভারগাঁও এলাকার ওলামা নগর খালপাড় বেরিবাঁধের পূর্ব পাশ থেকে রতনের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে থানা-পুলিশ। পরে ভুক্তভোগীর স্ত্রী বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে গোয়েন্দা নজরদারি ও সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব-১১ এবং র‍্যাব-১৩ যৌথ অভিযান চালিয়ে বুধবার (২ জুলাই) রাতে কুড়িগ্রাম সদর থানার আরাজী কদমতলা এলাকা থেকে ইয়ানুছকে গ্রেফতার করে।

জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য ও ঘটনার বিবরণ জানিয়ে র‍্যাব-১১ অধিনায়ক বলেন, আসামি ও ভুক্তভোগী পূর্বপরিচিত। তারা দুজন একই এলাকার বাসিন্দা ও মাদক ব্যবসায়ী হওয়ায় মাঝে মাঝে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তাদের বিরোধ হতো।

দুই বছর আগে ভুক্তভোগী ও আসামির মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে এবং ভুক্তভোগী আহত হয়। হত্যাকাণ্ডের ১৫ দিন আগে আবারও ভুক্তভোগী ও আসামির মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। সে সময় রতনকে হত্যার পরিকল্পনা করে ইয়ানুছ। সে অনুযায়ী এজাহারনামীয় আসামি হাসেম (৪০) ও ইলিয়াছের (৩০) সহযোগিতায় ১৭ জুন রাত সাড়ে ৩টার দিকে ভুক্তভোগীকে ডেকে নিয়ে মারধর করে গুরুতর আহত করে। এরপর রতনের গলা ও হাত-পায়ের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ খালে ফেলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ঘটনার পর থেকেই ইয়ানুছ কুড়িগ্রামে আত্মগোপন করে। তার বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যাচেষ্টার মামলাও রয়েছে।

পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য ইয়ানুছকে সোনারগাঁও থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।