আট বছর আগে শত্রুতার জেরে শরীয়তপুরের পালং উপজেলায় দেলোয়ার নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার মামলায় পাঁচ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় অন্য ১২ আসামি খালাস পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) এ রায় দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪-এর বিচারক মোহাম্মদ হালিম উল্লাহ চৌধুরী। এ মামলায় মোট ৩১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মিজানুর রহমান।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, ইসমাইল সরদার, ছালমুল সরদার, আমিনুল সরদার, রেজাউল সরদার ও জুয়েল সরদার।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন মজিবর সরদার, ফজলুল সরদার, আ. মালেক সরদার, মোকলেছ সরদার, মাহাবুব সরদার, তোতা সরদার, টিপু সরদার, পারচেজ সরদার, আ. ছালাম সরদার, পাভেল সরদার, আজিজুল হক সরদার ও পারুল বেগম।
রাষ্ট্রপক্ষের ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর গিয়াস উদ্দিন মামলা পরিচালনা করেন। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী সৈয়দ নাজমুল হুদা ও আতিয়ার কাজী।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে ১২ জুলাই শত্রুতার জেরে দেলোয়ার হোসেন (৩০) ও দুলাল সরদার (২৬) সুবচনী বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে পশ্চিম চররোসুদ্ধির পাকা রাস্তায় পৌঁছালে ৩১ জন নামধারী ও অজ্ঞাতনামা আসামি পরিকল্পিতভাবে অটোরিকশার গতিরোধ করে।
এরপর দেলোয়ারকে নামিয়ে লোহার রড, হাতুড়ি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। দুলাল সরদার বাঁচাতে গেলে তাকেও কুপিয়ে ও মারধর করে জখম করা হয়। ভাগনি পারভীন আক্তার বাধা দিতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়।
পরবর্তী সময়ে আশপাশের লোকজন এসে আহতদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেয়। দেলোয়ারকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের পিতা সালাম সরদার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।