আজ বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস

‘সুশৃঙ্খল জীবন যাপন করুন: ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে রাখুন’

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসআজ  (বৃহস্পতিবার) ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে প্রতিবছর ৭ এপ্রিল বিশ্বব্যাপী যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালিত হয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০১৬’ উদযাপন  উপলক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যাকে চিহ্নিত করে সে বিষয়ে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টি, সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সর্বজনীন সমর্থন অর্জনই দিবসটি পালনের মূল উদ্দেশ্য। এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘সুশৃঙ্খল জীবন যাপন করুন: ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে রাখুন’। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, সেমিনার আয়োজন, স্যুভেনির প্রকাশ, ডায়াবেটিস নির্ণয়ে রক্ত পরীক্ষা, স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদর্শনী, জাতীয় পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ, সড়কদ্বীপ সজ্জিতকরণ, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, জারিগান, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে ডায়াবেটিকজনিত স্বাস্থ্য সমস্যার ওপর আলোচনা অনুষ্ঠানসহ অন্যান্য কার্যক্রম অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বাস্থ্য দিবসের বার্তায় বলেছেন, উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০,  সরকারের ভিশন ২০২১ এবং ২০৪১ অনুযায়ী স্বাস্থ্যখাতের সূচকগুলো অর্জনের জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। এ জন্য ৪র্থ স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা উন্নয়নখাত কর্মসূচি প্রণয়নের কাজ চলছে, যা ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাস থেকে চালু হবে। স্বাস্থ্যখাতের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০-এর অন্যতম নীতি হলো প্রতিটি নাগরিকের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা। একটি বৈষম্যহীন স্বাস্থ্য পরিসেবা ব্যবস্থা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বিনামূল্যে আধুনিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে ‘শেখ হাসিনার হেলথ কেয়ার কর্মসূচি’ শুরু করেছি। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল, কালিহাতি ও মধুপুরে পাইলট প্রকল্প চালু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে তা ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জনগণের স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে উন্নত নগর পরিকল্পনা, পরিবহন ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো উন্নয়ন, স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, ধুমপানবিরোধী আইনের প্রয়োগ, বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ নিশ্চিত করণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, উপযুক্ত পরিবেশ ও বয়সবান্ধব বাড়িঘর ও খেলারমাঠ নির্মাণ, নিরাপদ খাদ্য এবং জনশক্তি ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন ঘটানোর মধ্য দিয়ে আমরা একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অংশগ্রহণ করছি।

জেএ /এমএসএম /এপিএইচ/