করোনা মোকাবিলায় যা করেছে ডিএনসিসি

14

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বেশ কিছু কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। প্রতিদিনের মতো শনিবারও এসব কর্মসূচি পালন করা হয়। ডিএনসিসির জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শনিবার সকাল থেকে ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক ও উন্মুক্ত স্থানে ব্লিচিং পাউডার মিশ্রিত জীবাণুনাশক তরল ছিটানো হয়। সংস্থাটির ৮টি ওয়াটার ভাইজার গাড়ির মাধ্যমে এক লাখ ৩০ হাজার লিটার জিবাণুনাশক ছিটানো হয়। এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডের অলিগলিতে, মসজিদের সামনে মশক নিধনকর্মীদের মাধ্যমে হ্যান্ড স্প্রে ও হুইলব্যারো মেশিনে তরল জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে ডিএনসিসির ফেসবুক পেইজে প্রচার অব্যাহত রাখা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে সচেতনতামূলক স্টিকার লাগানো হয়েছে। বস্তিবাসীসহ প্রতিটি ওয়ার্ডে হাতধোয়া কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রাখা হয়েছে। জনগণকে সচেতন করার জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে মাইকিং করা হচ্ছে।

এছাড়া করোনার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া ২৮ হাজার ৮০০টি অসহায়, ছিন্নমূল ও দুঃস্থ পরিবারকে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য বিতরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মাধ্যমে ৫০০টি পরিবারের জন্য এবং সংরক্ষিত আসনের প্রতিটি কাউন্সিলরের মাধ্যমে ১০০টি পরিবার এসব পণ্যসামগ্রী পাবেন। এর মধ্যে ৫ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি পেঁয়াজ, ২ কেজি আলু এবং ১ লিটার তেল থাকবে। এতে প্রতি পরিবারে ৬০০ টাকা হিসেবে। ৫৪জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ১৮জন সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলরের মাধ্যমে মোট ১ কোটি ৭২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানায় ডিএনসিসি।

এতে বলা হয়, করোনাভাইরাস গণসংক্রমণ রোধে হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিতকরণসহ সামাজিক দুরত্ব ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১০ টি অঞ্চলের প্রতিটিতে সশস্ত্র বাহিনীর সাথে সম্মিলিত অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। বারিধারা এলাকায় দুই ব্যক্তি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে মোটরবাইক নিয়ে বের হওয়ায় দেড় হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।