করোনার কারণে রিক্রুটিং এজেন্সির জামানতের অর্ধেক টাকা ফেরত দেবে সরকার

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়

কোভিড-১৯ এর মহামারির কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রিক্রুটিং এজেন্সির কর্মচারীদের বেতন ও অফিস ভাড়া প্রদানের জন্য এক বছরের মধ্যে ফেরত দেওয়ার শর্তে মানবিক কারণে লাইসেন্স জামানতের ৫০ শতাংশ পরিমাণ অর্থ রিক্রুটিং এজেন্টদের ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। জনশক্তি রফতানিকারকদের সংগঠন বায়রার আবেদনের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান।
উল্লেখ্য, রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স পেতে জামানত হিসেবে সরকারকে ১৫ লাখ টাকা দিতে হয়।
মন্ত্রণালয় জানায়, কোভিড-১৯ এর মহামারির কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রিক্রুটিং এজেন্সির কর্মচারীদের বেতন ও অফিস ভাড়া প্রদানের জন্য বায়রার আবেদনের প্রেক্ষিতে চলমান স্থবির অবস্থা বিবেচনায় ফেরতযোগ্য শর্তে লাইসেন্স জামানতের অর্ধেক পরিমাণ অর্থ রিক্রুটিং এজেন্টদের প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) মন্ত্রণালয় হতে এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালককে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
অফিস আদেশে বলা হয়, রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে জামানতের ৫০ শতাংশ টাকা উত্তোলনের জন্য বিএমইটির মহাপরিচালকের নিকট আবেদন করতে হবে। আবেদনের সঙ্গে ‘এক বছরের মধ্যে উক্ত টাকা অবশ্যই ফেরত প্রদান করবে’ এই মর্মে রিক্রুটিং এজেন্সিকে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে মহাপরিচালকের বরাবর অঙ্গীকারনামা প্রদান করতে হবে।
এছাড়া, ফেরতযোগ্য জামানতের উক্ত ৫০ শতাংশ অর্থ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফেরত প্রদানে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির রিক্রুটিং লাইসেন্স বাতিল করা হবে।