বাধা উপেক্ষা করে মিরপুরে ডিএনসিসির উচ্ছেদ অভিযান

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বিহারিদের বাধা উপেক্ষা করে রাজধানীর মিরপুর-১১ নম্বরের ৪ নম্বর অ্যাভিনিউয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এসময় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় রাস্তার পাশে থাকা শতাধিক অবৈধ দোকান। বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ১০ টায় অভিযান শুরু করতে চাইলে স্থানীয় বিহারি ও ব্যবসায়ীদের বাধার মুখে পড়েন ম্যাজিস্ট্রেট ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

পরবর্তীতে ১১টার দিকে একটি দোকান ভাঙা হলে অভিযান পরিচালনাকারীদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। দফায় দফায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় সিটি করপোরেশনের একজন চালকসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। ইট-পাটকেলের আঘাতে ভেঙে যায় কয়েকটি বুলডোজারের গ্লাস।

আগে থেকে উচ্ছেদের খবর থাকায় মিরপুর-১১ নম্বরের ৪ নম্বর অ্যাভিনিউয়ের সব দোকানপাট বন্ধ ছিল। এছাড়া আশপাশেরও দোকানপাট বন্ধ করে রাখেন ব্যবসায়ীরা।

পরে পিরস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, বৃহত্তর স্বার্থে এই উচ্ছেদ অভিযান। এতে স্থানীয়দেরও সমর্থন রয়েছে। কিছু কিছু অসাধু ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থ বিবেচনায় এ ধরনের ইটপাটকেল কিংবা উচ্ছেদ অভিযানে বাধাগ্রস্ত করছে। যত ধরনের বাধাই আসুক না কেন উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকবে। তাদেরকে বিভিন্ন সময়ে সিটি করপোরেশন থেকে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তারা সে নোটিশ আমলে নেয়নি। বরং উচ্ছেদ অভিযান বাধাগ্রস্ত করছে। জনগণের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে উচ্ছেদ পরবর্তী রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ করা হবে।

তবে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, বুধবার মৌখিকভাবে দোকান ভাঙার বিষয়টি সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। স্বল্প সময়ে দোকান থেকে মালপত্র তেমন বের করা সম্ভব হয়নি। আবার অনেকে অভিযোগ করেন, সিটি করপোরেশন ভাঙা কিংবা উচ্ছেদের বিষয়টি তাদেরকে অবহিত করেনি। এতে তারা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। কোনও জন্য বিকল্প ব্যবস্থা না করে, উচ্ছেদ অভিযান চালানোয় ক্ষোভ জানান ব্যবসায়ীরা।

অভিযানের নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ। তিনি বলেন, রাস্তার দু'পাশে ফুটপাতের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। সিটি করপোরেশনের মাস্টারপ্ল্যানে ৬৮ ফুট রাস্তার কথা বলা থাকলেও, অবৈধ দখলের কারণে রাস্তার পরিধি কমে যায়। রাস্তা দখলমুক্ত করতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

উচ্ছেদ অভিযানের বিষয়ে মিরপুর বিভাগ জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আরিফুল ইসলাম মিঠু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মোতায়েন করা হয় বিপুল পরিমাণ পুলিশ। নিয়ে আসা হয়েছে জলকামান। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

আরও পড়ুন:
মিরপুরে উচ্ছেদ অভিযানে বাধা, পুলিশ ও স্থানীয়দের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া