মশক নিধন অভিযানের তৃতীয় দিনে লাখ টাকা জরিমানা

মশক নিধনে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) শুরু হওয়া এই অভিযানের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ৬ হাজার ৯৯৮টি স্থাপনা পরিদর্শন করে সংস্থাটি। এরমধ্যে ৪৩টিতে মশার লার্ভা ও ৫ হাজার ৪১টিতে মশার প্রজননস্থল পাওয়া যায়। অভিযানে মশার লার্ভা ও বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়ায় ১৫টি মামলায় ৯১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ডিএনসিসি থেকে পাঠানো  সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ২১ ফেব্রুয়ারি অভিযান বন্ধ ছিল।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিএনসিসির উত্তরা অঞ্চলে (অঞ্চল-১) ৯৪৫টি স্থাপনা পরিদর্শন করে কোথাও মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৭১৫টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। মিরপুর-২ অঞ্চলে (অঞ্চল-২) ৯১টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৮টিতে মশার লার্ভা পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ২৮টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। মশার লার্ভা পাওয়ায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এস এম শফিউল আজমের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট এ অঞ্চলে ৩টি মামলায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে।

মহাখালী অঞ্চলে (অঞ্চল-৩) ২ হাজার ৪১টি স্থাপনা পরিদর্শন করে একটিতে মশার লার্ভা পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ১ হাজার ৫১১টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। মশার লার্ভা পাওয়ায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল বাকীর নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট এ অঞ্চলে ৪টি মামলায় ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে। মিরপুর-১০ অঞ্চলে (অঞ্চল-৪) ২০৭টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৫টিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৬৮টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। কারওয়ান বাজার অঞ্চলে (অঞ্চল-৫) ১৩৪টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩টিতে মশার লার্ভা পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৬৫টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়।

হরিরামপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-৬) ১ হাজার ৩২৪টি স্থাপনা পরিদর্শন করে কোথাও মশার লার্ভা পাওয়া যায়নি। তবে মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ১ হাজার ৫৬টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। দক্ষিণ খান অঞ্চলে (অঞ্চল-৭) ৮৯১টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪টিতে মশার লার্ভা পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৬৬২টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। উত্তর খান অঞ্চলে (অঞ্চল-৮) ৮৬৮টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ১০টিতে মশার লার্ভা পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৪৯০টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। মশার লার্ভা পাওয়ায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবেদ আলীর নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট  এ অঞ্চলে ৬টি মামলায় ৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে।

ভাটারা অঞ্চলে (অঞ্চল-৯) ৪৩৫টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ২টিতে মশার লার্ভা পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৪২৮টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। মশার লার্ভা পাওয়ায় সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবদুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট এ অঞ্চলে ২টি মামলায় ৪৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে। সাতারকুল অঞ্চলে (অঞ্চল-১০) ৬২টি স্থাপনা পরিদর্শন করে কোথাও মশার লার্ভা পাওয়া যায়নি। তবে মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ১৮টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়।