অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি

এমপিওভুক্তির দাবিতে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন বেসরকারি কলেজের অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকরা। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন শেষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে দাবি মানা না হলে কঠোর ও লাগাতার কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হারুন-অর-রশিদ ও সংগঠনের সদস্য সচিব মো. মোস্তফা কামাল লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির কথা জানান।

আহ্বায়ক হারুন-অর-রশিদ বলেন, ৩১ মার্চের মধ্যে এমপিওভুক্তির ঘোষণা না আসলে ৬ এপ্রিল থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।

তিনি জানান, এর আগে, সংগঠনের পক্ষ থেকে গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি টানা তিন দিন জেলায় জেলায় মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এছাড়া ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সংসদ সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব মো. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘বিধি মোতাবেক নিয়োগ পাওয়া সাড়ে পাঁচ হাজার শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করতে প্রতিমাসে মাত্র ১২ কোটি এবং বছরে ১৪৪ কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ দিলেই সমস্যার সমাধান হবে। মানবেতর জীবন থেকে মুক্তি পাবে সাড়ে ৫ হাজার পরিবারের সদস্যরা। অথচ বিগত ২৮ বছর ধরে আমরা বঞ্চিত হয়েছি।’

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ কলেজে তা দেওয়া হয় না। শিক্ষকরা দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে পেশাগত দাবি আদায়ের জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলন-কর্মসূচির পালন করার পরও বেতনভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকদের সঙ্গে বৈষম্য করা হচ্ছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকরা জনবল কাঠামোতে নেই বলে এমপিওভুক্ত করা হচ্ছে না।

উল্লেখ্য, একই দাবিতে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছে বাংলাদেশ নিগৃহীত অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক পরিষদ নামে অপর একটি সংগঠন।