বাসের ভেতর সেই একই চিত্র

যাত্রীরা ঠেলাঠেলি করে উঠছেন বাসে। কোনও সিট খালি রাখা হচ্ছে না। দাঁড়িয়েও যাচ্ছে লোকজন। কারও কারও মুখে নেই মাস্ক। চলমান লকডাউনের মধ্যে ২০ দিন বন্ধ থাকার পর আজ বৃহস্পতিবার গণপরিবহন চলাচল শুরু হলে চিরাচরিত চিত্রই চোখে পড়ে। সকালের দিকে বাসগুলো কিছুটা ফাঁকা থাকলেও বেলা বাড়ার পর রাজধানীর বিভিন্ন রুটের বাসগুলোতে একই অবস্থা দেখা গেছে।স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না বাসে

বেশ কয়েকটি রুট ঘুরে দেখা যায়, রাজধানীর ভেতরে গণপরিবহন চলাচল শুরু হলেও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না অনেকাংশেই। চলছে দাঁড় করিয়ে যাত্রী পরিবহন। অনেকের মুখেই নেই মাস্ক। ডাবল সিটে নেওয়া হচ্ছে যাত্রী। বেশিরভাগ বাসে যাত্রী ওঠানোর সময় চোখে পড়েনি কোনও জীবাণুনাশক স্প্রে’র। তবে দুই একটি বাসে স্প্রে ছিটিয়ে যাত্রীদের বাসে ওঠানো হচ্ছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি গাড়িতে সিট ভর্তি করে ওঠানো হয়েছে যাত্রী। এসব তদারকিরও যেন কেউ নেই।স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না বাসে

বাসের হেলপার কিংবা চালকদের অনেকেরই ছিল না মাস্ক। এছাড়া অনেক যাত্রীকেও বাসে মাস্ক ছাড়া দেখা গেছে। আর অনেকের কাছে মাস্ক থাকলেও ছিল থুতনিতে কিংবা হাতে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজধানীর মিরপুর, গাবতলী, আসাদগেট, শ্যামলী এলাকা ঘুরে এ ধরনের চিত্র চোখে পড়ে।

যাত্রীরা বলছেন, যদিও বাস চালু হওয়ায় সুবিধা হয়েছে, তবে অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর বাস পেয়েছি। গণপরিবহন চালুর প্রথম দিন হওয়ায় হয়তো রাস্তায় আজ বাস কম। বাসে ওঠার পর দেখতে পেয়েছি কোনও সিট নেই। একপ্রকার বাধ্য হয়েই আমরা পাশাপাশি সিটে যাচ্ছি। এই সুযোগটি নিচ্ছে বাসের হেলপারা।স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না বাসে

টেকনিক্যাল মোড়ে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, মোহাম্মদপুরগামী প্রজাপতি পরিবহন, পরিস্থান পরিবহন, সাভার পরিবহন, বৈশাখী পরিবহন, লাব্বাইক পরিবহন ছাড়াও অনেকগুলো বাসে সব সিটে লোক বসানোর পর দাঁড় করিয়েও যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অনেকে প্রশ্ন এড়িয়ে যান। লাব্বাইক পরিবহনের চালক ইসরাফিল বলেন, আমাদের মালিকরা কোনও জীবাণুনাশক স্প্রে আমাদের দেয়নি। যারা একই পরিবারের সদস্য তারা দুই সিটে পাশাপাশি বসেছে। তবে যাত্রীদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, তারা একে অপরের পরিচিত নন।রাজধানীতে গণপরিবহন চলাচল শুরু

মতিঝিলগামী যাত্রী সোহাগ বলেন, যাত্রী পরিবহনের বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষ মনিটরিং করলে আমরা এর সুফল পাবো। এছাড়া তারা ইচ্ছেমতো যাত্রী পরিবহন করবেই।

কাওরান বাজারগামী যাত্রী কাওসার আহমেদ বলেন, অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে বাস পেয়েছি। এছাড়া যাত্রীও কম দেখছি। আমাদের অফিস খোলা এতদিন সিএনজি অটোরিকশা ব্যবহার করে অফিসে যেতাম। আজ গণপরিবহন চালু হওয়ায় অনেকটাই সুবিধা হয়েছে। তবে করোনা সংক্রমণের বিষয়টি মাথায় রেখে আমাদের সবার সচেতন থাকা প্রয়োজন।

আরও পড়ুন- ২০ দিন পর রাজপথে নেমেছে গণপরিবহন