মশক নিধন কার্যক্রম তৃতীয় পক্ষের হাতে দিচ্ছে ডিএনসিসি

প্রথমবারের মতো মশক নিধন কার্যক্রম তৃতীয় পক্ষের হাতে দিতে যাচ্ছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। সংস্থাটির অঞ্চল-৩ এর এ কার্যক্রম পরীক্ষামূলকভাবে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান মেয়র। এজন্য কয়েক দফা বৈঠকও সম্পন্ন হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ জুন) সকালে মোহাম্মদপুর ইকবাল রোড এলাকায় এডিস মশা, ডেঙ্গু এবং চিকুনগুনিয়া বিস্তার রোধে মশক নিধনে চিরুনি অভিযান শুরুর আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র একথা বলেন।

আতিকুল ইসলাম বলেছেন, শুধু সিটি করপোরেশন একা নয়, প্রত্যেককে বাসার আঙিনা পরিষ্কার করতে হবে। প্রত্যেকের বাসায় যাওয়া সম্ভব না। তাই সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে।

মেয়র বলেন, গত ২২ মে থেকে থেকে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান শুরু করেছি। সবাইকে বলা হচ্ছে আপনার এলাকার দায়িত্ব আপনাকেই নিতে হবে। আপনার বাসার ভেতরে দায়িত্ব আপনাকে নিতে হবে। যার যার বাড়ির আঙিনা তাকেই পরিষ্কার করতে হবে। কিন্তু আমরা বার বার বলার শর্তেও কেউ কর্ণপাত করেন না। অনেকে গারয়ের জোর দেখান, রাজনৈতিক জোর দেখান।

মশক নিধন কাজ তৃতীয় পক্ষের হাতে দেওয়া প্রসঙ্গে বলেন, আমরা প্রথম একটি অঞ্চলকে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে দিতে চাচ্ছি। বিভিন্ন সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ তৃতীয় পক্ষকে দিয়েছি কিন্তু মশক নিধন এখন পর্যন্ত দেই নাই। আমরা অঞ্চল-৩ কে দিতে চাই। সেখানে আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে কাজ করবে তৃতীয় পক্ষ। তারা মশার ওষুধ, গাড়ি শ্রমিক থেকে শুরু করে সব করবে।

মেয়র বলেন, বিশ্বের যত আধুনিক প্রযুক্তি  আছে তার ব্যবহার করে দেখতে চাচ্ছি প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ৪টি মশা কামড়ালে ঠিক আছে, এর চেয়ে বেশি হলে আমরা ওই কোম্পানিকে পয়সা দেব না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য ডা. আ ফ ম রুহুল হক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, চিত্রনায়ক ফেরদৌস, অভিনেত্রী তানভীন সুইটি, স্থানীয় কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান নূর ইসলাম প্রমুখ।