চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩২ করার দাবিতে যুব প্রজন্মের সমাবেশ

করোনার ক্ষতি বিবেচনায় এবং স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি ও মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে ৩২ করার দাবিতে সমাবেশ করেছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজের শিক্ষার্থীদের প্লাটফর্ম  'সরকারি চাকরিপ্রত্যাশী যুব প্রজন্ম'।

শুক্রবার (১১ জুন) বিকাল তিনটায় রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সমাবেশ করেন তারা।

সমাবেশে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, 'আজকে আপনার (প্রধানমন্ত্রী) কারামুক্তির দিন। আপনি এই দিনে কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেছিলেন। আজকের দিনে আমাদেরকে খালি হাতে ফিরিয়ে দিবেন না। চাকরির বয়সসীমা বাড়িয়ে ৩২ করে আমাদেরকে পরিবারের বোঝা হওয়া থেকে মুক্তি দিন। 

নওগাঁর শিক্ষার্থী নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, 'রোহিঙ্গাদেরকে আশ্রয় দেওয়ার কারণে বহির্বিশ্ব আপনাকে  (প্রধানমন্ত্রী) 'মাদার অব হিউমিনিটি' উপাধিতে ভূষিত করেছে। আপনি আজকে আমাদের মতো বেকারদের দিকে তাকান। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ করে আমাদের হতাশা থেকে মুক্ত করুন।'

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাজিদ রহমান সেতু বলেন, 'করোনার এই অচলাবস্থায় সকল বয়সের শিক্ষার্থী-চাকরিপ্রত্যাশীরা ইতোমধ্যেই দেড় বছর হারিয়ে ফেলেছে যা দুই বছরের দিকে যাচ্ছে। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সময়সীমা ৩০ হওয়ায় করোনার শুরুতে যাদের বয়স ২৮ ছিলো তাদের সময় শেষ হওয়ার পথে। এ মুহূর্তে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ করা হোক।' 

সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা  মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এবং আওয়ামী লীগ সরকারের ২০১৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখকৃত 'প্রতিশ্রুতি' (বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসঙ্গত ব্যবস্থা গ্রহণ) অনুযায়ী করোনাকালীন   'প্রণোদনা স্বরুপ' সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ করার দাবি জানান। 

এ সময় শিক্ষার্থীরা 'মুজিব বর্ষের উপহার, ৩২  হোক - ৩২ হোক', 'বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নেই ' বলে শ্লোগান দিতে থাকেন।

সমাবেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।