রামপুরায় গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, স্বামীর দাবি আত্মহত্যা

রাজধানীর রামপুরায় হামিদা বেগম নামে ২৫ বছর বয়সী এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছেন তার স্বামী মেহেদী হাসান। তাকে অচেতন অবস্থায় প্রথমে স্থানীয় বেটার লাইফ হাসপাতাল এবং পরে সেখান থেকে রাত সাড়ে নয়টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শনিবার (১৯ জুন) রাত পৌনে ৯টায় উলন বাগিচারটেকের ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।

মৃতের স্বামী মেহেদী হাসান বলেন, ‘সন্ধ্যায় আমার একটি ছবি প্রিন্ট করতে বাইরে যাই। ফিরে এসে দেখি দরজা বন্ধ। দরজা ভেঙ্গে রুমের ভেতরে গিয়ে দেখি হামিদা ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে। পরে তাকে নামিয়ে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘দুমাস আগে হামিদার পিত্তথলিতে অপারেশন করা হয়েছিলো। তারপর থেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল সে।’ আর সে কারণেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি মেহেদীর। এ ছাড়া অন্য কোনও কারণ নেই বলেও দাবি করেন তিনি।

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, মৃতদেহটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব হবে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় অবগত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

মেহেদী হাসান নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার বাসিন্দা। তিনি ঢাকায় সরকারি একটি সংস্থায় চাকরি করেন। পাঁচ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে এই দম্পতির।