অলিগলির আড্ডা থামাবে কে

সকালে বৃষ্টি থাকার পরেও লকডাউনের মধ্যে অলিগলিতে ছিল মানুষের আনাগোনা। তাদের অনেকে ঘর থেকে বের হয়েছেন মাস্ক ছাড়া। অনেককে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার অজুহাতে ঘর থেকে বের হয়ে আড্ডা দিতে দেখা গেছে।

প্রতিবেলায় বিভিন্ন অজুহাতে দোকানে আসেন এমনই অনেকেই আছেন। মিরপুর পাইকপাড়ার রাইয়ান জেনারেল স্টোরের মো. উজ্জ্বল বলেন, ঘরের বাইরে আসার জন্য অনেকে এক দিনে কয়েকবার দোকানে আসেন। আড্ডা দেন। আমরা তাদের দোকানের সামনে আড্ডা দিতে মানা করি। অনেকে শোনেন, অনেকে শুনেন না।

রাজধানীর মিরপুরে কল্যাণপুর, পাইকপাড়া, চিড়িয়াখানা রোড, শিয়ালবাড়ি, মধ্য পীরেরবাগসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে মূল সড়কে চলাচল কম থাকলেও পাড়া-মহল্লায় মানুষের আড্ডা রয়েছে। অনেকেই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে এসে আড্ডায় মেতে উঠছেন। অনেক দোকানদার ও ফেরিওয়ালার মুখে মাস্ক দেখা যায়নি।

পাইকপাড়া এলাকায় মানুষজনকে সচেতন করতে ব্যক্তি উদ্যোগে মাইকিং করছেন কামাল হোসেন। পেশায় তিনি গাড়িচালক। লকডাউনে গাড়ি বন্ধ থাকায়,  মানুষকে সচেতন করতে হ্যান্ডমাইক নিয়ে তিনি রাস্তায় নেমেছেন। বিনা মূল্যে দিচ্ছেন  মাস্ক।
কামাল হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমি মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছি। যখনই সময় পাচ্ছি তখনই  মানুষজনকে মাস্ক পরার কথা বলছি। যাদের কাছে নেই তাদের মাস্ক দিচ্ছি।

মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস নিয়ে সচেতনতা কম বলেই মনে করেন কামাল হোসেন। তিনি বলেন, এই মহামারি থেকে মানুষজনের সুরক্ষার জন্য আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।