সবকিছু যেন স্বাভাবিক!

দেশে করোনা সংক্রমণের এখন ঊর্ধ্বগতি। সংক্রমণ ঠেকাতে টানা লকডাউনের কথা ভাবা হলেও এখন তা শিথিল করা হয়েছে। খুলেছে দোকানপাট, শপিং মল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ঘুরছে গণপরিবহনের চাকা। পুলিশের চেকপোস্টগুলোতে নেই কড়াকড়ি। রাস্তাঘাটে সব কিছুই এখন স্বাভাবিক। ঘর ছেড়ে বের হয়েছেন কর্মজীবী মানুষ। কাল থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে।

সকালে রাজধানীর রাজারবাগ এলাকায় দেখা গেছে, সব ধরণের গণপরিবহন চলাচল করছে। প্রায় সব আসনে যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি দাঁড়িয়েও যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। কমলাপুর এলাকায় বলাকা পরিবহনের বেশ কয়েকটি বাসে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে কোনও কোনও পরিবহনকে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে যাত্রী পরিবহন করতেও দেখা গেছে। যাত্রীদের অনেকের মুখে মাস্ক নেই। গাড়িতে উঠানোর সময়ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা হচ্ছে না। যাত্রীদের মাঝেও নেই সচেতনতা। যে যার মতো করে ঘোরাঘুরি করছেন।

সকালে সড়কে গণপরিবহনসহ প্রায় সব ধরনের যান চলতে দেখা গেছে

তবে গণপরিবহন চালু করে দেওয়ায় খুশি পরিবহন মালিক, চালক ও হেল্পাররা। তারা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে বেকার সময় কাটানোর পর এখন আবার কাজে যোগ দিতে পেরেছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাড়ি পরিচালনা করার জন্য তারা সাধ্যমতো চেষ্টা করলেও অধিকাংশ মানুষ তা পালন করছে না বলে অভিযোগ পরিবহন সংশ্লিষ্টদের।

সকালে ফকিরাপুল এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, রিকশা, আন্তঃনগর বাস, সিটি বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল, সিএনজিসহ সব কিছুই চলাচল করছে। রিকশা, সিএনজি ও মোটরসাইকেলে দুই থেকে তিন জন করে নেওয়া হচ্ছে। আশপাশের দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও খোলা দেখা গেছে।

রুহুল আমিন নামে এক কাপড়ের দোকানী বলেন, অনেকদিন পর দোকান খুলেছি। দোকানের আলমিরাসহ কাপড়ের তাকের উপর ধুলাবালু বসে গেছে। এগুলো পরিষ্কার করছি। এখনও গ্রাহক কম। ঈদের কেনাকাটা করতে হয়তো আসবে।

খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা মহমুদা আক্তার বলেন, লকডাউনের কারণে এতো দিন কেনাকাটা করতে পারিনি। আজ সব কিছু স্বাভাবিক হওয়াতে বের হয়েছি। বাচ্চাদের জন্য কিছু কেনাকাটা করতে হবে।

কমলাপুর এলাকায় পুলিশের একটি চেক পোস্ট দেখা গেছে। তার পাশে তিনজন পুলিশ সদস্যকে বসে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। এ সময় প্রতিটি বাসে অতিরিক্ত যাত্রী থাকলেও তারা কোনও বাধা দেয়নি।