ঈদের ছুটি শেষে সরকারি কার্যালয়গুলোতে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বেশিরভাগ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও তাদের নিয়মিত কাজ শুরু করেছে। কর্মদিবস শুরু হলেও এখনও রাজধানীর রাজপথগুলো রয়েছে ফাঁকা। নেই চিরচেনা যানজট। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই গন্তব্যে পৌঁছে যাচ্ছে নগরবাসী। এতে এক প্রকার স্বস্তির স্বাদ পাচ্ছে যানজটে দুর্ভোগে থাকা নগরবাসী।
ঈদ উদযাপন শেষে দৈনন্দিন কাজে রাজধানীতে চলাচলকারী বা কর্মজীবী অনেককেই এখন বলতে শোনা গেছে, ‘ঢাকা কেন সবসময় এমন থাকে না!’
মিরপুর থেকে গুলিস্তান যাওয়ার পথে যাত্রী শিহাব মন্তব্য করেন, ‘ঢাকা শহরের রাস্তা যদি সবসময় এমন ফাঁকা হতো, তাহলে কত ভালোই না হতো। কিন্তু আরও দু-একদিন এমন মনে হলেও আবারও ফিরে আসবে সেই দুর্ভোগের চিত্র।’
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে ছিল না কোনও যানজট। যেটুকু যানজট ছিল, তা কেবলই বিভিন্ন মোড়ের সিগন্যালে। সাধারণ কর্মদিবসে সায়েন্স ল্যাব থেকে মৎস্য ভবন মোড় পার হতে সময় লাগে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট। কিন্তু ঈদ-পরবর্তী সময়ে এই রাস্তা পার হতে সময় লাগছে ৫ থেকে ৭ মিনিট।
একই দৃশ্য চোখে পড়ে নগরীর অন্যান্য সড়কেও। স্বাভাবিক কর্মদিবসে বিজয় সরণি মোড় পার হতে সময় লাগে কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ মিনিট। কিন্তু এখন সেই মোড় পার হতে সময় লাগছে দুই থেকে তিন মিনিট।
সাধারণ সময়ে রাজধানীর যানবাহনগুলোকে যানজটের কারণে গন্তব্যে পৌঁছাতে হয় দেরিতে। আর এখন গণপরিবহনগুলোকে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করে পার হচ্ছে তাদের সময়।
মিরপুর থেকে যাত্রাবাড়ী রুটে চলাচল করে ট্রান্স সিলভা গণপরিবহন। এই বাসের সহকারী আল আমিন বলেন, এখন তো ঈদের সময়, তাই রাস্তা ফাঁকা। কিন্তু আমাদের যাত্রী কম, যাত্রীর জন্য স্ট্যান্ডগুলোতে দাঁড়াতে হয়। ফাঁকা বাস তো আর নেওয়া যায় না। তবে যাত্রী হয়ে গেলে আমরা আর দাঁড়াই না।
বেসরকারি চাকরিজীবী পারভেজ জানান, তার বাসা পুরান ঢাকায় আর অফিস কাওরানবাজারে। সাধারণ কার্যদিবসে বঙ্গবাজার থেকে বাসে উঠলে তার অফিসে যেতে সময় লাগে ৪০ মিনিট। কিন্তু ঈদের ফাঁকা সময়ে যেতে লাগে ১০ থেকে ১২ মিনিট।
গুলিস্তান থেকে সদরঘাট যাচ্ছিলেন ফল ব্যবসায়ী মানিক মিয়া। তিনি বলেন, প্রতিদিন আমার গুলিস্তান থেকে সদরঘাট যেতে সময় লাগে প্রায় ৪০ মিনিট। ঈদের এই ফাঁকা সময়ে যাই ১৫ থেকে ২০ মিনিটে।