জবির খেলার মাঠে পশুর হাট!

পুরান ঢাকার ধূপখোলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বসানো হয়েছে কোরবানির পশুর হাট।

সিটি করপোরেশন বলছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে হাট বসানোর নিয়ম নেই। তবে লিখিত অভিযোগ ছাড়া ব্যবস্থা নিতে নারাজ তারা।

মূলত ধূপখোলা মাঠ তিন অংশে বিভক্ত। উত্তর-পশ্চিমাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। দক্ষিণ-পশ্চিমাংশ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অধীনে। আর পূর্বাংশ ইস্ট এন্ড ক্লাবের নিয়ন্ত্রণে।

সরেজমিনে দেখা যায়, মাঠের ডিএসসিসি ও ইস্ট ওয়েস্ট ক্লাবের অংশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশেও সম্প্রসারিত করা হয়েছে হাট। মাঠের বিভিন্ন অংশে করা হয়েছে খোঁড়াখুঁড়ি, পোঁতা হয়েছে বাঁশ, ত্রিপল টানিয়ে গরু রাখা হয়েছে। পশুর বর্জ্যে এবং খোঁড়াখুঁড়িতে খেলার মাঠ বেহাল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্তরা ও নিয়মিত খেলোয়াড়রা বলছেন, প্রতি বছরই অবৈধভাবে হাট বসানো হয় খেলার মাঠে। ফলে নষ্ট হয় মাঠের পরিবেশ। এবড়োথেবড়ো হয়ে যাওয়া মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন টুর্নামেন্ট পরিচালনা করতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অসমতল মাঠে খেলতে গিয়ে অনেকসময় আহত হন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক গৌতম কুমার দাস বলেন, 'প্রতিবছরই তারা মাঠে হাট বসায়, খোঁড়াখুঁড়ি করে। মাঠে খেলার মতো পরিবেশ থাকে না।'

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ইজারাদারদের হাট সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, 'আমাদের অনুমতি না নিয়েই খেলার মাঠে পশুর হাট বসানো হয়েছে। আমরা পুলিশের ওয়ারী জোনের ডিসি ও গেণ্ডারিয়া থানার সহযোগিতায় ইজারাদারদের সাথে কথা বলেছি। তাদের হাট সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।'

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠে হাট বসানোর বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবেরিন বলেন, 'আমরা হাটের সীমানা উল্লেখ করে হাট বসানোর অনুমতি দিয়েছি। এর বাইরে হাট বসানো হলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।'

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে হাট বসানো হলেও কেন এখনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি‑ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ আসলে আমরা ব্যবস্থা নিবো। তেমন কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি।'